বাংলাদেশ ১৭২, নিউজিল্যান্ড ১৮০
কোন ইনিংসটা ভালো হলো, বাংলাদেশের নাকি নিউজিল্যান্ডের?
স্কোরকার্ড অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের পক্ষেই কথা বলবে। বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের ১৮০। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮ রানের লিড পেল অতিথি দল। হোক এই অর্জন সামান্য। কিন্তু পুরোদুস্তুর স্পিন ট্র্যাকের প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা কোনো অংশেই কম নয়। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড আপাত বিচারে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো ব্যাট করা দলের মর্যাদা পাচ্ছে।
বৃষ্টিতে ম্যাচের প্রায় চার সেশন দিনের হিসেবে পুরো সোয়া একটা দিন নষ্ট হলো। তৃতীয়দিন সকালে মাঠ পরিচর্যা শেষে আম্পায়াররা জানালেন খেলা শুরু হবে দ্বিতীয় সেশনে। দুপুর ১২টায় খেলা মাঠে গড়ালো। দেড়দিনের মতো বৃষ্টিতে ভেজা উইকেট ঢাকা ছিল। এমন ড্যাম্প উইকেটে ব্যাট করা মোটেও সহজ কোনো কাজ নয়। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিউজিল্যান্ড তৃতীয়দিন আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট চালালো। মারার মতো বল পেলেই বাউন্ডারি, ছক্কা। স্কোরবোর্ডে রানের চাকা বেশ ভালোভাবেই সচল রাখলো তারা।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল ৪১ রান যোগ করেন। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে ব্যাট হাতে গ্লেন ফিলিপস জানিয়ে দিলেন লম্বা সময়ের জন্য দলকে সার্ভিস দিতে এসেছেন তিনি। ৭২ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৮৭ রানের ঝলমলো ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে। দলের ১৮০ রানের মধ্যে ৮৭ রানই তার! এই হিসেবই জানিয়ে দিচ্ছে প্রথম ইনিংসে দলের জন্য তার অবদান কি?
স্পিনাররা যথানিয়মে উইকেট শিকার করলেও এদিন পেসার শরিফুল ইসলামও কৃতিত্ব দেখান। ম্যাচের প্রথমদিন শুধুমাত্র এক ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়দিন দুপুরে একপ্রান্ত থেকে ৩ ওভার করলেন। তুলে নিলেন ২ উইকেট। মেঘলা আকাশ, উইকেটে ময়েশ্চার-এই দুইয়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে শরিফুল জানিয়ে দিলেন মিরপুরের এই উইকেটে পেসারদের জন্যও অনেক ‘খাদ্য’ আছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের পেসারদের একটু বাড়তি সাবধানী ভঙ্গিতে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
স্কোরকার্ড: বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১৭২। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ১৮০।