উইকেটটা এখনো ভালোই আছে: ফিলিপস
‘ধাঁধার থেকেও জটিল তুমি’ মিরপুরের উইকেটটাকে কি নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশ মিলে এমন কিছু বলছে? প্রথম দিনে স্পিনারদের রাজত্ব দেখা গেল যেখানে, সেখানেই কি না এখন পেসাররা সাহায্য পাচ্ছেন! অন্তত নিউজিল্যান্ড পিচটাকে দেখছে এমন করেই! কিউইদের দিনের সেরা পারফর্মার গ্লেন ফিলিপস জানালেন এমনটা।
নিউজিল্যান্ড আজকের দিনের শুরু থেকেই খেলেছে ইতিবাচকতার পরকাষ্ঠা হয়ে। রান তুলেছে পাঁচেরও বেশি রান রেটে। লিড নিয়েছে ৮ রানের। সফরকারীদের এমন পারফর্ম্যান্সের মূল কারণ ছিলেন ফিলিপস। ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে তিনিই তো নিউজিল্যান্ডকে রেখেছিলেন ম্যাচে! ইনিংসটা থেকে বিষয়টা জলবত তরলং হয়ে যায়, যদি ঠিক অভিপ্রায়টা থাকে, আর ঠিক বল ধরে সীমানাছাড়া করা যায়, তাহলে এই উইকেটে অবশ্যম্ভাবী ইনিংস-সংহারী বলটা আসার আগ পর্যন্ত ভালোই রান তোলা সম্ভব।
তার নিজের ভাষায় তার পরিকল্পনাটা ছিল এমন, ‘আমি স্রেফ যত বেশি সম্ভব ব্যাট দিয়ে খেলতে খেলতে চেয়েছি, বিষটা আমি যতটা কার্যকরিভাবে সম্ভব, নিয়েছি। এটা বুঝে গিয়েছিলাম যে তারা অনেক ভালো বল করবে। সে বলগুলোরই আমি মুখোমুখি হয়েছি। এই পরিকল্পনাতেই যতটা পরিষ্কারভাবে আটকে থাকা যেত, আমি থাকতে চেষ্টা করেছি। কিছুটা টার্ন আর বাউন্স থাকবে, এটা মেনে নিয়েছিলাম, সেটাতে উইকেট না দিয়ে যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে চেষ্টা করেছি, মাথাটা পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করেছি।’
বৃষ্টি আর ভেজা আউটফিল্ডের পেটে গেছে আস্ত ৪টা সেশন। সেখানে ব্যাট করাটা কেমন কঠিন ছিল? উইকেটটাই বা কেমন কঠিন ছিল? ফিলিপস বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা প্রথম দিনের মতোই আছে। স্পিন আছে একটু, স্কিড করছে একটু। এর কারণে কাজটা কঠিন হয়েছে অবশ্যই। যেভাবে দুই দল ব্যাট করেছে তাতে অনেক ঝুঁকি ছিল। আমরা এটা বুঝেছিলাম যে এখানে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বলই খেলতে পারব, রানগুলো তার থেকেই করতে হবে।’
এমন উইকেটে কত রান যথেষ্ট হবে উইকেটে? ফিলিপসের কথা, ‘আমি মনে করি উইকেটটা যদি না বদলায়, আমি মনে করি কভারের নিচে পুরো ম্যাচেই একরকম থাকবে উইকেটটা, তাতে আমি বলব, ১৮০-২০০ রানের আশেপাশে যে কোনো কিছুই ভালো স্কোর হবে, তাড়া করাটাও কঠিন হবে। অসম্ভব নয় অবশ্য। তবে বেশ পরিশ্রম করতে হবে। আমরা আমাদের পরিকল্পনায় আটকে থাকতে হবে। তাদের ২০০ রানের নিচে আটকে রাখতে পারলে আমি বেশ খুশিই হবো।’