শরিফুল আগে আক্রমণে আসলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারত
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ফিরতেই আবারও আলোচনায় এর উইকেট। চিরাচেনা স্পিনিং ট্র্যাকের রেসিপিই মানা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে। প্রথম দিনে ১৩ উইকেট স্পিনারদের, প্রমাণটা তো মিলছে এখানেই।
তবে এক দিনের বৃষ্টি পরিস্থিতিটাই বদলে দিয়েছে। পেসাররাও দারুণ সুবিধা পেয়েছেন ঢেকে রাখা উইকেটে। দিনের প্রথম ভাগে শরিফুল ইসলাম আর দ্বিতীয় ভাগে টিম সাউদি বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন বেশ।
এমন এক উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপসের মূল্যায়ন, ‘শরিফুল বেশ সুইং পেয়েছে, বাউন্সও। যা আপনি উইকেট দেখলে ভাববেনও না অমন করবে। সাউদিও এমন কিছু বল করেছে। কালকের আগে যা বেশ ভালো লক্ষণ। উইকেটটা ঢাকা থাকবে, ফলে মুভমেন্টও থাকবে খানিকটা। পেসাররা আক্রমণে এলেই বুঝা যাচ্ছে, উইকেটটা ফ্ল্যাট নয়, পেসারদের জন্যও অনেক কিছু আছে। যা বেশ ভালোই মনে হচ্ছে।’
একই জায়গা থেকে বল একটা পাচ্ছে বাড়তি বাউন্স, আরেকটা নিচু হয়ে যাচ্ছে বেশ। তা কাজে লাগিয়েই শরিফুল পেলেন দুই উইকেট, একটা পেলেন সাউদি। তবে দিনের শুরুতে উইকেটে যখন খানিকটা বেশি আদ্রতা ছিল, তখন বোলিংয়ের সুযোগ ছিল শরিফুলের সামনে। তবে সেটা তিনি পাননি।
তিনি আগে এলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারত, বিশ্বাস ফিলিপসের। তার কথা, ‘আমি মনে করি তাইজুল যখন প্রথম বলটায় এত টার্ন পেল, তখন অধিনায়কের মনেই দ্বিধা চলে এসেছিল, যে এখানে পেস কাজ করবে কি না। কে জানে সে আগে বল করলে ফলটা আলাদা হতে পারত কি না! আমি মনে করি, সে যখন এল, সে একটা প্রভাব রেখেছে ম্যাচে, খুব ভালো করেছে। একই কাজটা টিমিও (সাউদি) আমাদের জন্য করেছে।’