১৩৭ রান করলেই ম্যাচ জিতবে নিউজিল্যান্ড

১৩৭ রান করলেই ম্যাচ জিতবে নিউজিল্যান্ড

৫৫ রানে ৫ উইকেট থেকে নিউজিল্যান্ড ইনিংস শেষ করেছিল ১৮০ রানে। আর বাংলাদেশ ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে থেমে গেল ১৪৪ রানে। মিরপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে জেতার জন্য বড় কোনো টার্গেট দিতে পারেনি বাংলাদেশ। স্পিনস্বর্গ মিরপুরের উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৪ রানে। স্পিনার এজাজ প্যাটেল তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে নিউজিল্যান্ডের চাই মোটে ১৩৭ রান।

মিরপুরের উইকেট স্কয়ার টার্নার। বল ঘুরছে লাটিমের মতো। এখানে রান তোলা কষ্টকর কাজ এবং সক্ষমতার বিষয়ও বটে। তবে জয়ের টার্গেট যেহেতু অতি অল্প। তাই এই ম্যাচ জয়ের হিসেব নিকেষে এখন নিউজিল্যান্ড ফেভারিট। ঢাকা টেস্ট জিততে হলে এখন বাংলাদেশের স্পিনারদের নাটকীয় কিছু করে দেখাতে হবে। আর অপেক্ষায় থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড যেন সফরে তাদের সবেচেয়ে বাজে ইনিংসটা খেলে!

৩৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের তৃতীয়দিন শেষ করে বাংলাদেশ। আশা এবং অপেক্ষা ছিল মিরপুরের চেনা উইকেটে দলের ব্যাটসম্যানরা বড় সঞ্চয় এনে দিবেন। কিন্তু চতুর্থ-দিনের সকালের সেশনেই উইকেট পড়লে মুড়িমুড়কির মতো! আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওপেনার জাকির হাসান ছাড়া দলের আর কেউ দাড়াতেই যে পারলেন না।

এলেন আর গেলেন। শুরুটা হলো মুমিনুলকে দিয়ে। লেন্থ বিচার করতে গিয়ে ভুল করে বসলেন মুমিনুল। এজাজের বলে এলবি হয়ে ফিরলেন। এবং তাতেই ধসের শুরু। ৭২ রানে ২ উইকেট থেকে বাংলাদেশের ইনিংসের ভাঙাচোরা চেহারা হয়ে গেল, ৯৭ রানে নেই ৭ উইকেট! মুশফিক, শাহাদাত, মেহেদি মিরাজ-পরের তিন ব্যাটসম্যান কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারলেন না। স্পিন ট্র্যাকে ব্যাট হাতে লড়াইয়ের জন্য যে দক্ষতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল তার ছিঁটেফোঁটাও এই ব্যাটসম্যানদের কেউ দেখাতে পারেননি।

উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান যে কায়দায় আউট হলেন তাতে টেস্ট ম্যাচে তার ব্যাটিংয়ের সক্ষমতা আরেকবার প্রশ্নবিদ্ধ হলো। রিভিউ নিয়ে রক্ষা পাওয়ার পরের বলেই তিনি যে কায়দায় সুইপ শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন সেটা নিশ্চিতভাবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লো পয়েন্ট।

একপ্রান্তে উইকেট আঁকড়ে কিছুটা লড়াই চালিয়ে গেলেন কেবল জাকির হাসান। দলের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে যখন ফিরলেন তখন তার নামের পাশে স্কোর ৫৯ রান। ৮৬ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় এই হাফসেঞ্চুরি।

দলের ১৪৪ রানের মধ্যে জাকির হাসানের একাই ৫৯ রান-এই হিসেবই জানাচ্ছে দলের বাকিদের নাম কেবল ব্যর্থতার তালিকায়।

ঢাকা টেস্ট স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস:
বাংলাদেশ ১৭২/১০ (৬৬.২ ওভারে, জাকির হাসান ৮, মাহমুদুল ১৪, শান্ত ৯, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৩৫, দিপু ৩১, মিরাজ ২০, সোহান ৭, নাঈম হাসান ১৩, তাইজুল ৬, শরিফুল ১০, অতিরিক্ত ১৪ স্যান্টার ৩/৬৫, এজাজ ২/৫৪, ফিলিপস ৩/৩১)
নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১৮০/১০ ( ৩৭.১ ওভারে, ল্যাথাম ৪. কনওয়ে ১১, উইলিয়ামসন ১৩, নিকোলস ১, মিচেল ১৮, ব্লানডেল ০, ফিলিপস ৮৭, স্যান্টার ১, জেমিসন ২০, সাউদি ১৪, এজাজ ০, অতিরিক্ত ১১, মেহেদি ৩/৫৩, তাইজুল ৩/৬৪, নাঈম ২.২১, শরিফুল ২/১৫)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৪৪/১০ ( ৩৫ ওভারে জাকির হাসান ৫৯, এজাজ ৬/৫৭)

সম্পর্কিত খবর