ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেন্দ্রীয় চুক্তিকে দুই অধিনায়কের ‘না’
অর্থই কি তবে সব! যেই দেশের আলো-বাতাস গায়ে মেখে বড় হওয়া। ক্রিকেটার হওয়া। নাম কামানো। তার প্রতি কোনো ঋণ নেই? ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নামে, কি কেবলই ছুটতে হবে টাকার পেছনে? দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃসময়ে যখন আপনাকে বড্ড বেশি প্রয়োজন; তখন আপনি সব জেনেও কি করে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন। এই কি তবে প্রতিদান?
কদিন আগে, যখন টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইয়ান বিষপ, গর্ডন গ্রিনিজের মতো সাবেক কিংবদন্তিরা নিজেদের ক্রিকেটের স্বার্থে সব ভুলে সবটুকু নিঙরে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বর্তমান ক্রিকেটারদের। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে দুঃসময়ে বর্তমানদের কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন ক্রিকেটাকে পুনরায় জাগিয়ে তোলার জন্য।
কিন্তু কোথায় কি? সাবেকদের আকুতির চেয়ে যে তাদের কাছে টাকার ঘ্রাণ বেশি মধুর। নয়তো জেসন হোল্ডার, নিকোলাস পুরান ও কাইল মায়ার্সরা কি করে মুখের ওপর বলে দেন; ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন না তারা। খেলবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। তাদের মতো গুটি কয়েকদের এই খামখেয়ালি পনাতেই যে ডুবতে বসেছে দেশটির ক্রিকেট গৌরব। সে কথা কি কখনো ভাবার সুযোগ হবে তাদের। না কেনিয়া-জিম্বাবুয়ের মতো সব হারানোর পর বোধোদয় হবে তাদের।
গতকাল নারী ও পুরুষদের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক বছর মেয়াদি এই চুক্তিতে জায়গা হয়েছে মোট ১৪ জন পুরুষ ক্রিকেটারের। অর্থাৎ এই সময়ে সবার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিতে হবে তাদের।
অন্যদিকে যারা চুক্তিতে থাকতে রাজি হননি; তারা চাইলেই ব্যস্ত থাকতে পারবেন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে। ডুব দিতে পারবেন টাকার পুকুরে। আর সেটিই বেছে নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অধিনায়ক হোল্ডার, পুরান ও অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মায়ার্স।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার: অ্যালিক অ্যাথানেজ, ক্রেইগ ব্রাফেট, কিসি কার্টি, তেজনারায়ণ চন্দরপল, জশুয়া ডা সিলভা, শেই হোপ, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, গুড়াকেশ মোতি, রোভম্যান পাওয়েল, কিমার রোচ, জেইডেন সিলস ও রোমারিও শেফার্ড
কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন: জেরমাইন ব্ল্যাকউড, এনক্রুমা বোনার, জেসন হোল্ডার, কাইল মায়ার্স, ওবেদ ম্যাকয়, নিকোলাস পুরান, ওডিন স্মিথ ও হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।