আবারও সে ‘পুরোনো’ গল্প!
২০২১ এএফসি কাপ। শেষ ম্যাচটা জিততেই হতো বসুন্ধরা কিংসের। মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচটায় এগিয়েও গিয়েছিল কোচ অস্কার ব্রুজনের দল। কিন্তু শেষমেশ সেটা আর হলো না। লাল কার্ড দেখলেন দলের একজন, এরপর সমতা ফেরাল মোহনবাগান। তাতেই বসুন্ধরাকে বিদায় নিতে হলো গ্রুপ পর্ব থেকেই।
২০২৩ এএফসি কাপ। এবার সমীকরণটা আরেকটু সহজ বসুন্ধরার; ড্র হলেই কেল্লাফতে, জিতলে তো কথাই নেই! প্রথমার্ধে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। তবে বিরতির বাঁশি বাজার একটু আগে বাধল বিপত্তি। অহেতুক ফাউল করলেন আসরোর গফুরভ, সেখানে তাকে রীতিমতো লাল কার্ডই দেখিয়ে দিলেন রেফারি! এরপর আবারও ওই পুরোনো গল্প, গোল হজম করা, এবং বিদায়…
এমন কিছুর সন্দেহ ম্যাচের আগেই ছিল কোচ অস্কার ব্রুজনের মনে মনে। সে কারণে ম্যাচ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেছিলেন রেফারিং নিয়ে। ম্যাচে সেটা হলো, যেন এটা অবধারিতই ছিল! আর তাতেই স্বপ্নভঙ্গ হলো বসুন্ধরার, খেলা হলো না নকআউটে।
ম্যাচের পর কোচ অস্কার আকুতি জানালেন, ফুটবলের স্বার্থে হলেও যেন এই ম্যাচের তদন্ত হয়। বললেন, ‘আমি এই ম্যাচের কোন টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস করতে চাই না। খেলার বৃহত্তর স্বার্থে শুধু অনুরোধ করবো এএফসি যাতে বাংলাদেশের এই দলটার সঙ্গে এএফসি কাপে যা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে।’
অস্কার জানালেন, আগের ম্যাচেও রেফারিং নিয়ে অসন্তোষ ছিল তার। বললেন, ‘ঘরের মাঠে আগের ম্যাচের পর আমরা রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম- যে রেফারি আমাদের অগ্রযাত্রা থামাতে চেয়েছেন। তবে সেই ম্যাচে আমার ছেলেরা অসাধারণভাবে ফিরে এসে ম্যাচ জিতেছিল।’
রেফারির এমন রেফারিংয়ের পেছনে আর্থিক বিষয়ও জড়িয়ে থাকতে পারে, সন্দেহ জানান ব্রুজন। তার কথা, ‘তবে আজ...। আমি আবারও বলছি, এএফসির অবশ্যই রেফারির বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। এখানে দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। প্রথমত হতে পারে অর্থনৈতিক ব্যাপার। দ্বিতীয়ত কারও কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে এমনটা করেছে। এটাই এই ম্যাচ নিয়ে আমার বক্তব্য। এছাড়া আর কিছু বলতে চাই না, ধন্যবাদ।’