দ্বিতীয়ার্ধের ঝড়ে আবাহনীকে উড়িয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

দ্বিতীয়ার্ধের ঝড়ে আবাহনীকে উড়িয়ে ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস

বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে পেরে উঠল না আবাহনী। ঘরের মাঠে আবাহনীকে ৪-০ গোলে ধরাশায়ী করে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের টিকিট কেটেছে বসুন্ধরা কিংস। সেখানে তাদের অপেক্ষায় আছে প্রথম সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জকে ১-০ ব্যবধানে হারানো মোহামেডান।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিকরা বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। সেটা জানত বলেই বোধহয় ম্যাচটি এই মাঠে খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল আবাহনী। কিন্তু বাফুফের তরফ থেকে সায় না পেয়ে অগত্যা বসুন্ধরার মাঠেই খেলতে হয়েছে আবাহনীকে। আর নিজেদের মাঠে আবাহনীকে নিয়ে স্রেফ খেলেছে স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কিংস।

প্রথমার্ধে দুই দলই বেশকিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে। দুর্বল ফিনিশিংয়ের মহড়ায় গোলশুন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ম্যাচের খোলনলচে বদলে যায়। স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থন সঙ্গে নিয়ে ম্যাচে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে বসুন্ধরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে প্রথমবার আবাহনীর রক্ষণদেয়াল ভেদ করে বসুন্ধরা। মধ্যমাঠে বল দখলে নিয়ে আবাহনীর বক্সের দিকে এগিয়ে মিগেলের উদ্দেশে পাস বাড়ান সোহেল রানা। তার কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি গত মৌসুমে আবাহনীতয়ে খেলা সোহেল রানার।

সে গোলের মিনিট পাঁচেক পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা। এই যাত্রায় আবাহনী রক্ষণের ভুলে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন রাকিব, সেখানে দাঁড়ানো দরিয়েলতন ট্যাপ ইন করে বল জালে জরিয়ে দেন। ৭৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে সাদ উদ্দিনের বলে সহজ হেডে ম্যাচ আবাহনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যান মিগেল।

আর শেষদিকে বক্সের ভেতর আবাহনীর এক ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবলের কারণে পাওয়া স্পট কিক জালে পাঠিয়ে বসুন্ধরার বড় জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক রবসন রবিনিয়ো।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মুখোমুখি দেশের ফুটবলের দুই জায়ান্ট মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংস।

সম্পর্কিত খবর