তামিম ইকবাল কেন নেই বিশ্বকাপের দলে? এই প্রশ্নের বেশ কয়েকটি উত্তর গতকাল থেকে ভেসে বেড়াচ্ছিল গণমাধ্যমে। তার মাঝে একটি উত্তর অনেকটা এমন ছিল যে, বোর্ড ব্যাটিং অর্ডারে তামিমের জায়গা পরিবর্তন করতে চাওয়াতেই নাকি বিশ্বকাপ দলের অংশ হতে চাননি তামিম ইকবাল। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় বিশ্বকাপে না খেলার পেছনে তামিমও এই কারণটিকেই সামনে এনেছেন।

ম্যাচ ফিট থাকার পরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্রাম, নিচের দিকে ব্যাটিং করানো - বোর্ডের এমন কিছু প্রস্তাবের কোনোটিই দেয়া পছন্দ হয়নি তামিমের। বিসিবির যে কর্তা এই প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন, নাম প্রকাশ না করেই তার উপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন তামিম। আর এসব কারণেই শেষ পর্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে স্কোয়াড থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন এই ড্যাশিং ওপেনার।

এই ব্যাপারে ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, 'বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলবো এটা কখনো বলি নাই। ফিজিও রিপোর্টে আমি ফিট ছিলাম। ওয়ার্ল্ড কাপে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে বলেছিলো বিসিবি। ১৭ বছর ধরে ওপেনিং করছি এটা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি ক্যারিয়ারে ৩ নাম্বার পজিশনেও ব্যাট করি নাই।'

তামিমের কথায় স্পষ্ট এমন প্রস্তাব তার পক্ষে মেনে নেওয়াটাও অস্বস্তিকর। আর অস্বস্তির কারণটাও স্বাভাবিক। ২০০৭ থেকে বাংলাদেশের ওপেনিং তথা ব্যাটিং অর্ডারের নির্ভরতার নামও এই ওপেনার। সেক্ষেত্রে টিম ম্যানেজমেন্টের এমন প্রস্তাব মেনে নেওয়ার চেয়ে বরং সরে যাওয়াটাকেই তুলনামূলক সহজ ভেবেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজারেরও অধিক রান করা এই ওপেনার।

এর আগে বুধবার সকালে তামিম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লিখেন, 'আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমি সবাইকে বিগত কয়েক দিনের ঘটে যাওয়া ব্যাপারে কিছু কথা বলবো। গত কয়েক দিন অনেক কথাই গণ মাধ্যমগুলোতে এসেছে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের এবং আমার ভক্ত - সমর্থক সবারই পরিষ্কার ভাবে সব কিছু জানার অধিকার রাখে।'

গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনেক নাটকের পর বিশ্বকাপের সর্বশেষ দল হিসেবে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। তামিমকে ছাড়াই বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছে বাংলাদেশ দল।