সুপার লিগ আয়োজনের পক্ষে আদালতের রায়
কর্তৃত্ব হারাতে কে চায় বলুন। চোখের সামনে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে দেখা কার সহ্য হয়। সহ্য হয়নি ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ও ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন উয়েফার। নতুন আরেকটি ফুটবল টুর্নামেন্ট তাদের সাথে টেক্কা দেবে; মানতে পারেননি ফুটবলের অন্যতম এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থাও।
২০২১ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে বাজারে আসার ঘোষণা দেওয়া ইউরোপিয়ান সুপার লিগকে এক রকম অবাঞ্ছিত করে সংস্থা দুটি। ঘোষণা দেয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ক্লাব ও ফুটবলারদের ওপর নিষেধাজ্ঞার। তাদের এমন ঘোষণার পর টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১২টি দলের মধ্যে সরে যায় ৯টি দল। তবে লড়াইটা চালিয়ে যান রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস।
ফিফা ও উয়েফার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামেন। দীর্ঘ সেই লড়াইয়ের পর অবশেষে জয় পেয়েছেন তারা। তাদের আয়োজিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পক্ষে ঐতিহাসিক এক রায় দিয়েছে ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালত। যেই রায়ে বলা হয়েছে, ‘টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাধা দিয়ে উয়েফা ও ফিফা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইন ভঙ্গ করেছে। যেকোনো আন্তঃক্লাব ফুটবল প্রকল্প, যেমন—সুপার লিগ অনুমতি সাপেক্ষে এগিয়ে যেতে পারে। ফিফা ও উয়েফা সেই প্রতিযোগিতায় কোনো ক্লাব ও খেলোয়াড় অংশ নিলে নিষিদ্ধের যে নিয়ম তৈরি করেছে, তা বেআইনি।’
আদালতের এমন রায়ের পর সুপার লিগ প্রকল্পের প্রচারকারী কোম্পানি এ২২ স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে। বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এটিকে দেখছে নিজেদের বিজয় হিসেবে। তার মতে, ‘এই রায় ফুটবল বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য বন্ধ করে ইউরোপে একটি নতুন অভিজাত প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত করেছে।’
আদালতের রায়ের পরপরই ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন ফরম্যাট প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সুপার লিগ গঠিত হবে ৬৪টি দল নিয়ে। প্রমোশন এবং রিলিগেশন সহ বিভাগ থাকবে মোট ৩টি (স্টার, গোল্ড এবং ব্লু)। প্রতি দল প্রতি মৌসুমে হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ১৪টি ম্যাচ খেলবে। খেলা হবে দুই পর্বে। প্রথমে লিগ ও তারপরে প্লে অফ।