আজ দুজনার দুটি পথ...
তারকা দম্পতি
কথাটা দার্শনিকের মতো বলতে শোনালেও প্রতিটা মানুষের জীবনই যেন একেকটা মহাকাব্য। হয়তো একেকটা সিনোমার গল্পও। তারা দু'জন যেহেতু এই গ্রহেরই মানুষ ব্যাতিক্রম হবেন কেন?
ইয়াশ চোপড়া আরো কিছুদিন বেঁচে থাকলে হয়তো আরেকটা 'বীর জারা' হতে পারতো। বলিউডের রঙিন সিনেমার কাহিনীও সাদামাটা তাদের ওই প্রেমের গল্পের কাছে! গল্পের পরতে পরতে নাটকীয়তা। এই বুঝি ভেঙে যাচ্ছে সবকিছু! এই বুঝি দু’জনের দুটি পথ বেঁকে যাচ্ছে দু’দিকে!
কিন্তু তা হয়নি। গল্পের শেষ প্রান্তে এসে ভিনদেশি রাজকুমারের গলাতেই মালা পরালেন রাজকন্যা। গল্পটা ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা এবং পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের। তবে সেই গল্পেরও বুঝি নতুন এক টুইস্ট সামনে হাজির! হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কালজয়ী গানটারই মতো...আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে!
শোনা গুঞ্জন-এমন রঙিন প্রেমের গল্পে এখন বিরহের করুণ রাগিনী। দু'জনের বিয়ে নাকি ভাঙনের মুখে। যদিও এনিয়ে যখন দু'জনই কিছু বলছেন না; তাহলে হাওয়ায় না ভেসে চলুন তাদের সেই রঙিন দিনের গল্পটাই শুনে আসি।
শৈশবের বন্ধু সোহরাব মির্জার সঙ্গেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল সানিয়ার। আংটিবদলও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এমন দৃশ্যে আগমন শোয়েব মালিকের। মানুষের মন যে কত বিচিত্র তার দেখাই মিলল। সোহরাব মির্জাকে রেখে সানিয়া প্রেমে পড়লেন শোয়েবের। কিন্তু হঠাৎ আয়েশা সিদ্দিকা নামের একজন জানিয়ে দেন তিনি শোয়েবের প্রথম স্ত্রী!
বিয়ের আগে সিদ্দিক পরিবারের পক্ষ থেকে শোযেব-আয়েশার নিকাহনামা প্রকাশ করা হয়। এর দু’দিন পর সিদ্দিক পরিবারের বিপক্ষে মানহানির মামলা ঘোষণা দেন শোয়েব।
বিয়ের কয়েক দিন আগেই শোয়েব আশ্রয় নেন সানিয়াদের বাসায়। এমন সময় সিদ্দিক পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলাকরা হয়। সানিয়াকে বিয়ের আগে এয়শাকে তালাকদেওয়ার দাবি ওঠে। কিন্তু শোয়েবের দাবি-‘বিয়েটাই যেহেতু হয়নি তালাকের প্রশ্ন উঠছে কেন?’ অবশ্য নিজের সে সিদ্ধান্তে তিনি অনড় থাকতে পারেননি। বাধ্য হন বিয়ের আগে তালাকনামায় সই করতে। ১৫ হাজার রুপির বিনিময়ে আপসরফা (ডিভোর্স) করতে বাধ্য হন শেযেব মালিক।
প্রেমের বেলায় সাত খুনমাফ! ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিকভাবেই নেন সানিয়া। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল টেনিস এবং ক্রিকেটের এ দুই তারকা কবুল বলেন। সাদি মুবারক শেষে বেশ সুখের দিনে এক পুত্র সন্তানও এসেছে তাদের ঘরে। কিন্তু ঘরে যে এখন আর দু'জন একসঙ্গে আর নেই। শোয়েব করাচি-দুবাই করে সময় কাটাচ্ছেন। আর সানিয়া তো হায়দারাবাদ-দুবাইয়ে ব্যস্ত!
কে জানে কোন অভিমানে পথ আঁধারে ঢেকে দিচ্ছেন দু'জন!