আর কিছুই জেতা বাকি নেই আলভারেসের!
বর্তমান সময়ের স্ট্রাইকারদের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি। বল নিয়ন্ত্রণে রাখা কিংবা ঠান্ডা মাঠায় প্রতিপক্ষের জালে বল প্রবেশ করানো, কোনোটি করতেই ভুল করেন না।
বলছিলাম হুলিয়ান আলভারেসের কথা। একসময় স্বপ্ন দেখতেন জাতীয় দলে খেলবেন তিনি। আদর্শ মানতেন লিওনেল মেসিকে, মেসির সঙ্গে একদিন জাতীয় দলে খেলবেন এমন স্বপ্নে বিভোর ছিলেন আর্জেন্টাইন এই তরুণ। তার চেষ্টা এবং পরিশ্রমের ফল তিনি পেলেন অল্প বয়সেই।
২০১৬ তে আলভারেস যোগ দেন নিজ দেশের ক্লাব রিভার প্লেটে। একই বছর আর্জেন্টিনার অনূর্ধ্ব-২০ দলেও সুযোগ পান। সেখান থেকেই কোচ ও ফুটবল বিশেষজ্ঞদের নজর কাড়েন তিনি। পরের বছরেই অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও জায়গা করে নেন এই স্ট্রাইকার।
তার ছোটবেলার স্বপ্ন পূরণ হয় ২০২১ কোপা আমেরিকায়। মেসির সঙ্গে মাঠে একসঙ্গে খেলতে পারার স্বপ্ন। দলীয় নৈপুণ্যে সেবার কোপা আমেরিকা তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপা হাতে ধরে দেখেন আলভারেস।
২০২২ সালে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি কিনে নেয় তাকে। প্রথম ম্যাচে নেমেই গোল পান তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ২০২২ এর ফিনালিসিমায় আরেকটি আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পান আল্ভারেস।
এরপর আসে ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপ আসর। মেসির শেষ বিশ্বকাপে তার সঙ্গী হয়ে মাঠে নামেন আলভারেস। ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ, তবুও চাপ নেন নি এই তরুণ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একক নৈপুণ্যে গোল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। একই ম্যাচে মেসির ক্রস থেকে জালে বল প্রবেশ করিয়ে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যান বিশ্বকাপ ফাইনালে।
রোমাঞ্চকর এক ফাইনাল ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। অধরা সেই সোনালী ট্রফিটিও ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করেন আলভারেস।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে জমকালো আয়োজনের সঙ্গে তাকে বরণ করে নেয় তার ক্লাব ম্যান সিটি। একই মৌসুমে ট্রেবলও জিতে তার ক্লাব।
তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তাকে আর থেমে থাকতে হয়নি। যেই ম্যাচেই মাঠে নামেন, দেখান নিজের নৈপুণ্য। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই দেশ এবং ক্লাবের হয়ে সম্ভাব্য সকল শিরোপার দেখা পেয়ে গেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩টি, রিভারপ্লেটের হয়ে ৬টি এবং বর্তমান ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ৫টি শিরোপা ইতিমধ্যেই জিতেছেন আল্ভারেস।