ব্রাজিল ফুটবলের এমন দিন দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি পেলে
দুঃস্বপ্নেও কি কখনো এমন দিন কল্পনা করতে পেরেছিলেন পেলে-রোনালদো-রোনালদিনহোরা। যারা ফুটবলকে দু’পায়ে উজাড় করে দিয়েছে। সুশোভিত করেছে সমগ্র ফুটবলটাকে। যাদের হাত ধরে ব্রাজিল পেয়েছে পাঁচটি বিশ্বকাপ। ফুটবলটা যাদের কাছে স্রেফ ধর্মের মতোই পবিত্র। সেই তাদের কেই কিনা নিষেধাজ্ঞার হুশিয়ারি দিচ্ছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা! এমন দিনও দেখতে হচ্ছে ব্রাজিল সমর্থকদের।
দেশের ফুটবল যেখানে ডুবার পথে। একের পর এক বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরও যেখানে পোস্ট মর্টেম না হয়ে চলে বোর্ড প্রধান হওয়ার চেয়ারে বসা নোংরা রাজনীতির খেল। আর সেটিও গড়ায় কোর্ট অবধি। তখন ফিফারই বা করার কি থাকে বলুন। এই খেলা বন্ধ করতে তখন বাধ্য হয়েই হুমকি দিতে হয় ফিফাকে। মনে করিয়ে দিতে হয়, আইনানুযায়ী, কোন বোর্ডের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না সে দেশের সরকার বা আদালত।
অথচ সব জেনে বুঝেও সেই কাজটিই করেছে ব্রাজিল। ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে বোর্ড প্রধান এডনাল্ডো রদ্রিগেজ ও তার কমিটির বাকিদের সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছে রিও ডি জেনিরোর একটি আদালত। যা নজরে আসতেই ব্রাজিলকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে একটি চিঠি লিখেছে ফিফা।
যাতে বলা হয়েছে, সভাপতি রদ্রিগেজকে সরানোর তৎপরতা থামাতে হবে ব্রাজিলকে। এ ব্যাপারে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। যদি নেওয়া হয় তবে ফিফার শাস্তির মুখে পড়তে হবে ব্রাজিলকে।
এ বিষয়ে তদন্ত করতে ফিফা ও কনমেবলের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যারা সবকিছু খতিয়ে দেখতে আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাজিল যাবেন। এরপর রদ্রিগেজ ও তার বোর্ডের ওপর আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। সেই সঙ্গে দেখবেন বোর্ডের ওপর সরকার বা তৃতীয় কোনো পক্ষ হস্তক্ষেপ করছে কিনা।
আর সেটি হলে যে কঠিন মূল্যই চুকাতে হবে ব্রাজিলকে। আসতে পারে নিষেধাজ্ঞাও। আর সেটি হলে আগামী ২০২৪ কোপা আমেরিকা ও ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলাও অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে ব্রাজিলের। যা হয়তো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে চাইবে না দলটির সমর্থকরা।