পেলেকে হারানোর এক বছর

পেলেকে হারানোর এক বছর

সময় কতো দ্রুত চলে যায়! তাকে হারানোর ৩৬৫ দিন, চোখের নিমেষে যেন চলে গেল! ২৯ ডিসেম্বর ২০২২; দিনটাকে ভুলে যেতে চাইবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

পেলে নেই এক বছর হয়ে গেল। এক বছর আগের এই দিনে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই দুঃসংবাদ, পেলে আর নেই! ৮২ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে যান ফুটবল সম্রাট। লম্বা সময় কিডনি এবং প্রোস্টেট ক্যানসারে ভোগা পেলে রুটিন চেকআপের অংশ হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখান থেকে ঘরে ফেরা হলো না তার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের দিনকয়েক পরই চির না ফেরার দেশে চলে যান ব্রাজিলের এই কিংবদন্তি!

১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে দরিদ্র পরিবারে জন্ম। পুরো নামটা পাঠ্য পুস্তুকেই তো সবাই দেখেছেন-এডিসন আরান্তিস দো নাসিমেন্তো। ফুটবল তাকে পেলে নামেই চেনে। না চিনে উপায় আছে বিস্ময়কর যাদুতে তিনি যে আছেন অনন্য উচ্চতায়! ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে জেতেন তিনটি বিশ্বকাপ।

ফুটবল পাঠে এমনই বিস্ময়কর খেলায় মুগ্ধ করতে যে তাকে আদর করে অনেকেই ডাকতো কালো মানিক নামে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে ম্যাজিক শুরু তার। ব্রাজিলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ের আনন্দে ভাসিয়ে নিজে উঠে আসেন অনন্য উচ্চতায়। তারপর তো শুধু এগিয়ে চলার গল্প। তার সারাংশ এটাই- বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিন তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি আর হাজার গোলের রেকর্ড-তার পায়ের কাছে এসে পড়েছে!

১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। এরপর ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিল। তাকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি শতাব্দীর ‘সেরা ক্রীড়াবিদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তার দেশ ব্রাজিলের সরকার তাকে ‘জাতীয় সম্পদ’ উপাধিতে ভূষিত করে।  ২০০০ সালে পেলেকে শতাব্দী সেরা ফুটবলার ঘোষণা করে ফিফা। 

ক্যারিয়ারে এক হাজার ৩৬৬ ম্যাচ খেলে গোল করেন এক হাজার ২৮৩টি। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেন তিনি। যে রেকর্ড ভেঙেছেন নেইমার। কিন্তু পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়া আদৌ সম্ভব নয়। এই ফুটবল খেলাটাকেই তো তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়!

ফুটবলের রাজা তো একজনই- এডিসন আরান্তিস দো নাসিমেন্তো! ফুটবল খেলাটা যতো দিন বেঁচে থাকবে-পেলে আপনাকে মনে রাখতেই হবে!

সম্পর্কিত খবর