বার্সার পর অ্যাটলেটিকোকেও হারাল জিরোনা
লিগ শিরোপার কথা বলতে যেন একটু লজ্জাই হয় জিরোনা কোচ মিকেল মুনোজের। বলছেন তার দল যদি ইউরোপীয় প্রতিযোগিতাতেও নাম লেখায়, তাহলেও অনেক। কিন্তু মাঠে তার দল যা করছে, তাতে কি আর আলাপটা থেমে থাকে?
মাঠে ঠিকই একের পর এক থ্রিলারের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে জিরোনা। চলতি মৌসুমে এর আগে বার্সেলোনাকে হারিয়েছিল দলটা। এবার অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকেও হারিয়ে বসল মিকেলের দল। তাও আবার ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর স্কোরলাইনের ম্যাচে!
গত রাতে নিজেদের মাঠ এস্তাদি মন্তলিভিতে দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় জিরোনা। বক্সের কোণা থেকে গোলটা করেন ভ্যালেরি ফার্নান্দেজ। তবে সফরকারী অ্যাটলেটিকো জবাব দিতে সময় নেয় মোটে ১২ মিনিট। আলভারো মোরাতার গোলে সমতা ফেরায় দলটা।
সে ম্যাচটায় সময় যত গড়িয়েছে, রঙ ততবার বদলেছে যেন। মোরাতার সমতা ফেরানোর পর অ্যাটলেটিকো বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারেনি। ২৬ মিনিটে সাভিওর গোলে আবারও এগিয়ে যায় জিরোনা। মাঝমাঠে কোকের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে তা সফরকারীদের জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই তরুণ স্ট্রাইকার। ৩৯ মিনিটে ডাচ উইংব্যাক ড্যালে ব্লিন্ড তৃতীয় গোলটা করলেন জিরোনার, তখন মনে হচ্ছিল ম্যাচে বুঝি আর ফেরা হলো না অ্যাটলেটিকোর।
তবে বিরতির আগে সেই তাদেরই ম্যাচে ফেরান মোরাতা। প্রথম গোলের কপিক্যাট একটা গোলে বিরতির একটু আগে আবারও এক গোলের দূরত্বে চলে আসে রোহিব্ল্যাঙ্কোরা। সে ব্যবধানটা ঘুচে যায় ৫৪ মিনিটে, এবারও মোরাতাই বল জড়ান জিরোনার জালে, স্কোরলাইনে আনেন ৩-৩ সমতা। নিজে পেয়ে যান ক্লাব ক্যারিয়ারের তৃতীয় হ্যাটট্রিক, অ্যাটলেটিকোয় এই প্রথম, দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের সাড়ে ছয় বছর পর।
সে আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি তার। ইনজুরি সময়ে গোল করে বসেন ইভান মার্টিন। তাতেই জিরোনা পেয়ে যায় ৪-৩ গোলের দারুণ এক জয়। এই ম্যাচের পর রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সমতায় ফিরল জিরোনা, দুই দলেরই পয়েন্ট ৪৮। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে অ্যাটলেটিকো আছে তালিকার তিনে, আজ বার্সেলোনা নিজেদের ম্যাচে জিতলে অ্যাটলেটিকো নেমে যাবে তালিকার চারে।