মৃত্যুর পর ম্যারাডোনা জানলেন, তিনি দোষী নন
ক্লাব ক্যারিয়ারে ডিয়েগো ম্যারাডোনা নিজের খেলা সব ক্লাবের চেয়ে এগিয়ে রাখবেন কোন ক্লাবকে? উত্তরটা হবে, নাপোলি। ক্লাবটাকে ইতিহাসের প্রথম মেজর শিরোপা জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা, তাকেও বেশ আপনই করে নিয়েছিল নেপলিতানোরা। কিন্তু ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার পর আর নেপলসে পা রাখতে পারেননি তিনি। কর ফাঁকির মামলা যে ঝুলছিল মাথার ওপর!
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আর নেপলসে দেখা যায়নি তাকে। সে মামলা তাকে আর তার প্রাণের ক্লাবে ফিরে যেতে দেয়নি। তার মৃত্যুর তিন বছর পর এবার জানা গেল, ম্যারাডোনা আসলে নির্দোষ ছিলেন! ইতালির সর্বোচ্চ আদালত তার নামে চলমান কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে নিয়েছে। তার সঙ্গে রাজস্ব কর্তৃপক্ষের চলা ৩০ বছর দীর্ঘ লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে ম্যারাডোনাপক্ষই।
ম্যারাডোনার প্রতি অভিযোগটা ছিল এমন, ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি লিখটেনস্টেইনের কিছু কোম্পানি ব্যবহার করে নাপোলি ক্লাব থেকে নিজের ইমেজ রাইটসের অর্থ গ্রহণ করতেন, যেন কর দিতে না হয়।
১৯৯৩ সালে তার এই মামলা করা হয়। এরপর থেকে টানা চলেছে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও শেষ পর্যন্ত এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকি অভিযোগে তদন্ত শুরু হয় ১৯৯০ সালে। মোট ৩ কোটি ৭০ লাখ ইউরো কর ফাঁকির অভিযোগও পরবর্তীকালে সামনে আনা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় ইতালি সফরকালে ম্যারাডোনার বেশ কিছু সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
তার আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি শেষ হয়ে গেছে এবং আমি বিরোধিতার ভয় ছাড়াই স্পষ্টভাবে বলতে পারি যে ম্যারাডোনা কখনই কর ফাঁকি দেননি।’
মামলার নিষ্পত্তির অনেক আগে, ২০২০ সালের নভেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন ম্যারাডোনা। তার মৃত্যুর তিন বছরের পর তার ওপর আনা কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে নেওয়া হলো এবার।