বিশ্বমঞ্চে লয়েডের টানা দুই
অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। চিরায়ত এই কথাকে পরপর দু’বার ভুল প্রমাণ করেছিলেন ক্লাইভ লয়েড। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ বিশ্বকাপ; ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল যেন তারকার মিলনমেলা। রয় ফ্রেডরিক্স, গর্ডন গ্রিনিজ, ভিভ রিচাডর্স ও কেইথ বয়েস এতো বড় বড় নাম যে এদের সামাল দিতে হিমশিম খাওয়ার কথা যে কারোরই। ক্লাইব লয়েড অবশ্য কাজটি করেছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই।
বিশ্বমঞ্চে সতীর্থদের থেকে যেমন সেরাটা আদায় করে নিয়েছেন তেমনি নিজেও প্রয়োজনের সময় ব্যাট ও বল হাতে দলের জয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। পুরো দলটাকে গেঁথেছেন এক সুতোয়। দেখিয়েছেন নেতৃত্বে মুনশিয়ানা। পথ রচিত করে রেখে গেছেন বাকিদের জন্য। যা পরবর্তী প্রজন্মে যে কোনো অধিনায়কের জন্যও হতে পারে অনুকরণীয়।
১৯৭৫ বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে সেবার ফাইনালে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দেন লয়েড। খেলেন ৮৫ বলে ১০২ রানের কালজয়ী এক ইনিংস। শক্তিশালী ভিত পায় ক্যারিবীয়রা। এরপর বল হাতে ১২ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচায় ১ উইকেট তুলে নেন লয়েড। তার ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সে প্রথম বিশ্বকাপের স্বাদ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চার বছর পর ১৯৭৯ সালে ফের প্রস্তুত লয়েড। সেবারও দলের নেতৃত্বে তিনি। আরও একবার দেখালেন মুনশিয়ানা। শক্তিশালী সব দলকে হারানোর পর ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে গড়লেন ইতিহাস। তৃতীয় বারও একই কাণ্ড। দলকে নিয়ে গেলেন আরও একটি ফাইনালে। এবার অবশ্য ভাগ্য সহায় হলো না। নয়তো টানা বিশ্বকাপ জিতে হ্যাটট্রিক শিরোপাটাও জেতা হয়ে যেত তার।
সেবার ভারতের কাছে ফাইনালে হারতে হয়েছিল লয়েডের দলকে। যা ছিল ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটন। হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়তে না পারলেও লয়েড ঠিকই এ প্রজন্মের অধিনায়কদের জন্য রেখে গেছেন নেতৃত্বের সঠিক গাইডলাইন।
ক্লাইভ লয়েড- ১৯৭৫ ও ১৯৭৯
ওয়ানডেতে ক্লাইভ লয়েড
ম্যাচ ইনিংস রান উইকেট
৮৭ ৬৯ ও ১০ ১৯৭৭ ৮