সৌদি আরবে ‘টার্নিং পয়েন্টের’ খোঁজে বার্সা
গেল বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। তবে চলতি মৌসুমটা মোটেও ভালো কাটছে না কাতালানদের। শেষ কিছু দিন ধরে এক গোলে ম্যাচ জিতছে, না হয় ড্র করছে। যার ফলে এখন লিগ টেবিলের তিনে অবস্থান দলের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ, আর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী জিরোনা এখন আছে লিগ টেবিলে তাদের ওপরে।
এমন পরিস্থিতি থেকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে টানা জয় চাই বার্সেলোনার, ধারাবাহিকতা চাই। তবে সেজন্যে আগে পুরো দলের প্রয়োজন সাফল্যের ডোপামিন, যা দলকে উজ্জীবিত করবে আবার, অনুপ্রেরণা যোগাবে নতুন করে সামনে এগোনোর। সৌদি আরবে সে সুযোগই সামনে পড়ে আছে বার্সার। সুপার কাপ জিতে নতুন করে মৌসুমটা শুরু করার সুযোগ। কোচ জাভির চাওয়া এমনই। বললেন, সৌদি আরবে পা রেখে টার্নিং পয়েন্ট খুঁজছে তার দল।
জাভির চাওয়াটা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ দিচ্ছে গেল মৌসুম। বার্সেলোনা গেল মৌসুমে এই রিয়াদে এসে জিতেছিল সুপার কাপ শিরোপা। এরপর লা লিগায় গিয়ে পরের নয় ম্যাচে জিতেছিল আটটিতে। তেমন কিছু এবারও চাইছেন কোচ জাভি।
তার কথা, ‘আমি আশা করছি এটা একটা টার্নিং পয়েন্ট হবে। আমি আশা করি আমরা ধারাবাহিকতা খুঁজে পেতে পারব। গেল বছর এ সফরটা আমাদের নিখুঁত ছিল। এই শিরোপাটা আমাদের আত্মবিশ্বাস আর স্থিতি এনে দিয়েছিল।’
একই কথা রোনাল্ড আরাউহোর কণ্ঠেও ঝরে পড়ল, ‘গেল বছর সুপার কাপটা আমাদের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। চলতি বছরও আমরা এমন কিছুই চাই। এটা একটা শিরোপা যা আমরা জিততে চাই।’
প্রতিপক্ষ ওসাসুনা আগের মৌসুমের কোপা দেল রের ফাইনালে খেলেছিল। চলতি মৌসুমে অবশ্য লিগ টেবিলের ১২তম স্থানে আছে ক্লাবটি। তবু প্রতিপক্ষের জন্য প্রশংসাই ঝরল কোচের কণ্ঠে। তার কথা, ‘আমরা ওসাসুনাকে অনেক সম্মান করি। তবে ম্যাচে আমরাই ফেভারিট। এটা একটা নকআউট ম্যাচ, এখানে জয় আর হার ছাড়া অন্য কোনো ফল আসার কোনো সুযোগ নেই। তবে আমরা ফাইনালে যাওয়ার অভিপ্রায় নিয়ে এসেছি, সেটা বোঝাতে হবে আমাদের পারফর্ম্যান্স দিয়ে।’
গেল মৌসুমে বার্সেলোনার শিরোপা জয়ে সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল দলটির রক্ষণভাগ। গেল মৌসুমের পুরোটা জুড়ে যেখানে ২০ গোল হজম করেছিল বার্সা, সেই দলটাই এবার মাঝ মৌসুম না যেতে ২২ গোল খেয়ে বসেছে। এই দিকটায় উন্নতি চান আরাউহো।
তার কথা, ‘দুই বক্সেই আমরা কার্যকরী হতে চাই, রক্ষণ হোক কিংবা আক্রমণে। আমরা রক্ষণে ভুলগুলো শোধরাতে চেষ্টা করছি। গেল মৌসুমে যা আমাদের ভালোই সাহায্য করেছিল।’