ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে প্রাইভেট সেক্টরকে পৃষ্ঠপোষকতার আহবান পাপনের

ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে প্রাইভেট সেক্টরকে পৃষ্ঠপোষকতার আহবান পাপনের

ক্রীড়াঙ্গনে অর্থাভাব বেশ পুরোনো অভিযোগ। সরকার থেকে ফান্ড প্রতিটি ফেডারেশনকেই দেওয়া হয়। তবে ফেডারেশনগুলোর প্রয়োজনটা এর চেয়েও বেশি, তাই বাজেটটা কমই পড়ে যায় প্রতি বছর। সে সংকট নিরসনে নতুন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন দিলেন একটা সমাধানের ধারণা। আহ্বান জানালেন সব প্রাইভেট সেক্টরকে পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে। 

আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ও হকি ফেডারেশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাপন। তা শেষেই মূলত এ বিষয়ে আলাপ করেন তিনি। এছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনে 'গুড গভর্নেন্স' নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনো বিশেষ ফেডারেশনের জন্য  নয়, ক্রীড়ার সকল ক্ষেত্রেই ‘গুড গভর্নেন্স' নিশ্চিত করা হবে। আর যারা ব্যতায় ঘটাবে তারা অবশ্যই পরবর্তীতে সরকার থেকে কোনো সহযোগিতা পাবে না।’ এ সময়ে ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও  এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি। 

বৈঠক শেষে ফুটবলকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা উল্লেখ করেন পাপন। তিনি বলেন বলেন, ‘আমার নারী ফুটবলরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল অর্জন করছে। পুরুষরাও ভালো করছে। তারা ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । তবে ফুটবলে কিছু সমস্যা রয়েছে।  ফুটবল ফেডারেশনের মাঠ সংকট রয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজ চলমান । ৩১ ডিসেম্বর এটি সমাপ্তির জন্য একটা ডেডলাইন রয়েছে। এটি যেন আর বিলম্ব না হয় সেদিকে আমরা সচেষ্ট থাকব। ইতোমধ্যে আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছি। তারপরও  বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রকৃত চিত্র সশরীরে দেখতে চাই। দেখে এসে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারব।’ 

তিনি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কমলাপুর স্টেডিয়ামও পরির্দশনের কথা জানিয়ে বলেন, ‘কমলাপুর স্টেডিয়ামে আপগ্রেডের বিষয়টিও আমরা ভাবছি। কমলাপুর স্টেডিয়াম যদি আরো উন্নত করা যায় তাহলে সেখানেও ফুটবল ফেডারেশন অনেক টুর্নামেন্ট বা নানাভাবে ব্যবহার করতে পারে।’

ফুটবল ফেডারেশনের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ’ফুটবলের ব্যাপ্তি অত্যন্ত বেশি। দেশি-বিদেশে খেলায় অংশগ্রহণে নানা ব্যয় ফলে তাদের বাজেটের চাহিদাও বেশি থাকবে এটাই  স্বাভাবিক। ফুটবলসহ অন্যান্য খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানাই।’

হকি কে দেশের আরেক সম্ভাবনাময় খেলা উল্লেখ করে ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘হকির সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু বিষয় নির্ধারণ করেছি। যেগুলো করতে হবে। স্বল্প ও মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী।হকি ফেডারেশন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ইনডোর হকির ব্যবস্থা করতে চায়। আমি বলেছি এটি করা সম্ভব। সেজন্য আমি  হকি স্টেডিয়াম পরির্দশনে যাবো। ইনডোর হকিতেও সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী আগামী সপ্তাহের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভায় যোগদান করবেন । সেই সভা থেকে ফিরবেন ৩ ফেব্রুয়ারি। এর পরপরই স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাবেন বলে জানান তিনি। 

সম্পর্কিত খবর