প্রতিশ্রুত ‘ভালো ক্রিকেট’ খেলতে পারবে বিশ্বকাপের ‘ভূত’ আফগানিস্তান?

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫।

এই দিনে বিশ্বকাপে প্রথম এবং একমাত্র জয় পেয়েছিল আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে সেদিন স্কটল্যান্ডকে অনেক চেষ্টা-চরিত্র করে এক উইকেটে হারিয়েছিল মোহাম্মদ নবীর দল। এর আগে-পরে মিলিয়ে বিশ্বকাপে আরও ১৫টি ম্যাচ খেলেছে আফগানরা। তবে এর সবকটি ম্যাচেই তাদের মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। এর বেশিরভাগ ম্যাচে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি দলটি।

২০১৫ এবং ২০১৯-এর পর তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে আফগানিস্তান। কিন্তু ফলাফলের দিকে তাকালে উন্নতির লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া দায়। 

যদিও এবারের বিশ্বকাপে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেবল একটি ম্যাচেই খেলেছে আফগানরা। কিন্তু ওই ম্যাচের ফলের দিকে তাকালে আগের দুই বিশ্বকাপের দুঃস্বপ্নের চিত্রই ভেসে ওঠে। ধর্মশালায় স্পিনিং উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছে আফগানিস্তান। সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে খাবি খেয়েছেন আফগান ব্যাটাররা। অথচ রশিদ খান, মুজিব উর রহমান বা মোহাম্মদ নবীরা সেই তুলনায় নিষ্প্রভ। যেখানে বিশ্বকাপের আগে ভারতের স্পিনসহায়ক কন্ডিশনে আফগান স্পিনত্রয়ীকে সমীহ করছিল বিশ্বকাপে অংশ নেয়া অন্য দেশগুলো, সেখান প্রথম ম্যাচেই তাদের এমন নির্বিষ প্রদর্শনী সমর্থকদের হতাশ করেছে।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আফগানিস্তান যেকোনো দলকে টক্কর দিতে পারে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘরের মাঠকে দুর্গে পরিণত করা বাংলাদেশকে সম্প্রতি ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে দেয়া যার বড় প্রমাণ। কিন্তু বড় মঞ্চে এলেই খেই হারিয়ে ফেলে তারা। বড় মঞ্চের জুজু চেপে ধরে রশিদ খানদের। ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েও এখনো দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ্ডি পেরোতে পারেনি আফগানরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে তো তাদের অবস্থা আরও বেহাল।  ২০১৫ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে ১ জয়, ২০১৯ বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে সবকটিতে হেরেছে তারা।

এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেও ৯ ম্যাচ খেলতে হবে আফগানিস্তানকে। যার মাঝে ধর্মশালায় প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ছয় উইকেটে হারতে হয়েছে তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের সামনে ভারত - স্বাগতিক  এবং আসরের অন্যতম ফেবারিট। এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপে ঘুরে দাঁড়ানো অন্তত কাগজে-কলমে তো অলীক কল্পনা। তবে বিশ্বকাপ শুরুর আগে আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদির প্রতিশ্রুত ‘ভালো ক্রিকেট’ খেলতে পারলেই নিশ্চিত পাশমার্ক পেয়ে যাবে বিশ্বকাপের নবীনতম এই দল।

খেলার দুনিয়া | ফলো করুন :