‘ভয়ঙ্কর’ স্যাটনারে তাকিয়ে কিউইরা
ভারত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ডেফিন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারানোর দিনেও দলের সবচেয়ে কিপটে বোলার ছিলেন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৭ রান খরচায় তুলেছিলেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তবে রাচিন রবীন্দ্রর দিনে আলাদাভাবে নজর কাড়তে পারেননি মিচেল স্যাটনার। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য নজরটা ঠিকই নিজের দিকে টেনেছেন স্যাটনার।
শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড়ো ১৭ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করানোর পর; বল হাতে একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। গুড়িয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসকে। তার অল-রাউন্ড নৈপুণ্যের দিন ৯৯ রানের জয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলেছে কিইউরা।
আগের দুটি আসরে ফাইনাল খেলা কিউইরা স্বপ্ন দেখছে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নেওয়ার। সেই স্বপ্নের পথে ভারতের স্পিনিং কন্ডিশনে কিউইদের আলোর দিশারি যে তিনিই হতে চলেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলও তাকিয়ে স্যাটনারের চূড়ান্ত ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে।
আহমেদাবাদ ও হায়দরাবাদের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটেও স্পিন ভেলকি দেখিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন স্যাটনার। তাদের পরের ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে। যেখানে বরাবরই বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে স্পিনাররা। তাছাড়া আইপিএলে এটিই স্যাটনারের হোম গ্রাউন্ড। দল চেন্নাইয়ের হয়ে এ মাঠে খুব বেশি একটা খেলার সুযোগ পাননি তিনি। রবীন্দ্র জাদেজার কারণে চেন্নাইয়ে হোম গ্রাউন্ডে কমই সুযোগ হয়েছে তার। তবে মাঠটি সম্পর্কে বেশ ভালোই ধারনা আছে তার।
সেটাই নিঙড়ে দিতে চাইবেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। যা নিয়ে স্যাটনার বলেন, ‘টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগেই জানতাম চেন্নাইয়ে কিছুটা স্পিন বন্ধব উইকেট হবে। বিশেষ করে অন্য রাতে। বাংলাদেশ স্পষ্টতই ভালো স্পিন খেলে তাই এই বিশ্বকাপে অন্যান্য খেলার মতোই এটি একটি চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। আমি মনে করি আমরা দলগুলোকে পরাজিত করতে এবং বিপর্যস্ত করতে পারব।’
বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে স্যাটনার আরও বলেন, ‘পরবর্তী আসন্ন দুটি ম্যাচের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। যার প্রথমটি বাংলাদেশের বিপক্ষে। যদি এটি অন্য রাতের মতো হয় তবে এখানেও বল ঘুরবে। দিনের বেলায় একটুখানি এবং তারপর একটু স্কিড করা শুরু করবে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা শিশির পরবে তাই আমাদের উভয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’