তিন মিনিটে দুই গোল, আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা মোহামেডান
দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল যেবার, বাংলাদেশের ফুটবল সেবার দেখেছিল অবিশ্বাস্য এক লড়াই! ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ৪-৪ ড্রয়ের পর পেনাল্টি শ্যুটআউটে আবাহনীকে হারিয়েছিল মোহামেডান। বছর ঘুরে আরও একবার মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, মঞ্চ সেই ফেডারেশন কাপই।
এবারও ম্যাচ শেষে বিজয়ীর হাসিটা লেগে রইল মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদের মুখেই। তার দল যে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটা জিতেছে, তাও আবার তিন মিনিটে দুই গোল করে! ২-১ ব্যবধানের এই জয়ে ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা দল হয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল সাদা-কালোরা।
আজ মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচটা ছিল আবাহনীর হোম ম্যাচ। এই ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল আবাহনীই। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে মোহামেডান রক্ষণ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ওয়াশিংটন বল বাড়ান বক্সে। বলটা দখলে নিয়ে ডান পায়ের শটে সাকিব আল হাসানকে পরাস্ত করেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার কিছুক্ষণের মধ্যেই সমতা ফেরায় মোহামেডান। ম্যাচের বয়স তখন ৫১ মিনিট। মাঝমাঠ থেকে মোজাফফর মোজাফফরভের লং বল দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে গিয়ে পড়ে বক্সে যেতে থাকা ইম্যানুয়েল সানডের পায়ে। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বলটা তিনি জড়ান জালে।
এরপর মোহামেডান এগিয়ে যেতে সময় নিল মোটে মিনিট তিনেক সময়। লম্বা থ্রো ইন বক্সে থাকা সানডের মাথায় গিয়ে পড়ে। তার দারুণভাবে প্লেস করা হেডার ধরতেই পারেনি আবাহনীর রক্ষণ। তাতেই ম্যাচে এগিয়ে যায় মোহামেডান।
এ গোলের পর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মোহামেডানকে। চির-প্রতিদ্বন্দ্বীদের ম্যাচেই আর ফিরতে দেয়নি আলফাজ আহমেদের দল। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। বি গ্রুপ থেকে তাদের অর্জন পূর্ণ ৯ পয়েন্ট। আবাহনীর অর্জন ৬ পয়েন্ট। তাই দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে তাদের যেতে হচ্ছে শেষ আটে।