সাপ্তাহিক আয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রোনালদো

সাপ্তাহিক আয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রোনালদো

টাকা-যার গায়ে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা-‘চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে।’ বাস্তবে টাকার গায়ে এমন লিখা থাকলেও কখনো কখনো বস্তায় বস্তায় টাকা ঢেলেও মিলে না বাহক। ক্লাব ফুটবলের দলবদলে এমন ঘটনা চোখে পড়ে হরহামেশায়। কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করেও মিলে না প্রত্যাশা মাফিক ফুটবলার। এর উল্টোটাও হয়। ক্লাবে থাকতে চেয়েও পারেন না ফুটবলাররা। অন্য ক্লাবের টাকার কাছে বিক্রি হতে হয়। অর্থাৎ সবই টাকার খেল।

সম্প্রতি ফুটবলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে টাকা। সবশেষ দলবদলের দিকে তাকালে যা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। ইউরোপীয় ফুটবলের চাকচিক্য ছেড়ে হঠাৎই খেলোয়াড়দের সৌদি ক্লাবে নাম লেখানোর হিড়িক। যার পেছনে একটাই কারণ টাকা। যে যত ভালো ফুটবলার তার দাম ততো বেশি। আর সে যদি হয় তরুণ ও প্রতিভাবান তবে তো কথাই নেই। এসবকে কেন্দ্র করেই জমে উঠে দলবদলের বাজার। যা নিয়ে ফুটবলার প্রেমীদের আগ্রহটাও আঁচ করা যায় ঢের।

সম্প্রতি সেই আগ্রহ থেকেই ফুটবলারদের পারিশ্রমিক ও আয়ের হিসেবে তুলে এনেছে ক্রীড়াভিত্তিক পোর্টাল ‘গিভমিস্পোর্ট’। ডেটা বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাপোলজি’র বরাত দিয়ে যেই জরিপ চালানো হয়েছে ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোসহ সৌদি প্রো লিগ এবং মেজর লিগ সকারে। যেখানে সপ্তাহে একজন ফুটবলারের সর্বোচ্চ আয়ের হিসেব আনা হয়েছে তাতে।

যেই হিসেব বেশ অবাকই করেছে ফুটবল প্রেমীদের। জৌলুসে সব প্রতিযোগিতার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও সাপ্তাহিক পারিশ্রমিকের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়েই আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। এই লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা কেভিন ডি ব্রুইনা সপ্তাহে আয় করেন ৪ লাখ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি। একই দলে খেলা আর্লি হালান্ড ও লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর সাপ্তাহিক আয় তার থেকে কিছুটা কম।

লা লিগার দল বার্সেলোনায় খেলা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং অবশ্য বেতনে ছাড়িয়ে গেছেন লিগের সবাইকেই। সপ্তাহে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৬৮২ পাউন্ড পারিশ্রমিক পান তিনি। তার ঠিকই পরেই অবস্থান তারই সতীর্থ রবার্ট লেভান্ডোভস্কি।

অন্যদিকে বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে খেলে সেই লিগের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিচ্ছেন হ্যারি কেইন। সপ্তাহে তার আয় ৪ লাখ ১০ হাজার পাউন্ড। তার ঠিকই পরের অবস্থান করছেন ম্যানুয়েল নয়্যার।

যেই এমবাপেকে নিয়ে সবশেষ তিন মৌসুম দলেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই এমবাপেই ফরাসি লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ বেতন প্রাপ্ত ফুটবলার। সপ্তাতে এমবাপের আয় ১১ লাখ ৮২ হাজার পাউন্ড। এই লিগে বেতনে তার ধারে কাছেই নেই দ্বিতীয় কেউ। অন্যদিকে ইতালিয়ান লিগ সিরি ‘আ’তে সপ্তাহে ২ লাখ ১২ হাজার পাউন্ড নিয়ে সর্বোচ্চ বেতন প্রাপ্ত ফুটবলার হয়েছেন জুভেন্টাসের দুসান ভ্লাহোভিচ। বেতনে তার ঠিক পরেই অবস্থান নাপোলির ভিক্টর ওসিমেনের।

সৌদি লিগে নাম লেখানো তারকাদের পথ প্রদর্শক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বেতনটাও আকাশচুম্বী। সপ্তাহে আল নাসর থেকে ৩২ লাখ ৮৩ হাজার পাউন্ড আয় করেন এই ফুটবলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৫ কোটি টাকারও বেশি।

অন্যদিকে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি থেকে সপ্তাহে আয় করেন ১ লাখ ৯২ হাজার পাউন্ড। যা ওই লিগে খেলা সর্বোচ্চ।

সম্পর্কিত খবর