প্রতিটি প্রতিভার খোঁজ রাখবেন পাপন
প্রতিভার ঝরে পড়ার সমস্যা কম বেশি আছে খেলার দুনিয়ার সব জায়গাতেই। এর পেছনে আছে নানান সব কারণ। তবে এবার আর কোনো ক্রীড়া প্রতিভাকে আর হারিয়ে যেতে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। এজন্যে নিজে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের খোঁজ রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটরিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচিতে ক্রীড়ামন্ত্রী এ কথা বলেন। তার ভাষ্য, ‘কোনো প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই চেষ্টা করব। এখানে যারা এসেছে তারা সবাই এই বয়সে নিজ নিজ খেলার মেধাবী। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রত্যেকের খোঁজই রাখব।’
২০১০ সালে প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যার অধীনে একেক বছর একেক খেলা এবং একেক জেলা থেকে প্রতিভা অন্বেষণ করা হয়। তবে অন্বেষণের পর তাদের আরও বড় পর্যায়ে আনতে যে ফলোআপ চাই, সেটা করা হয় না খুব একটা।
প্রতিভা যেন ঝরে না পড়ে, সেজন্যে পাপন ফলোআপের ওপরও বেশ জোর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘এখানে মাত্র তিন সপ্তাহের একটা প্রশিক্ষণ হয়েছে। এরপর যদি তাদের ধারাবাহিকতা না থাকে অথবা তারা কি করছে সেটা খোঁজ না রাখতে পারি, তাহলে তো আর এই কর্মসূচির সার্থকতা নেই। আমরা প্রতিভাবানদের ডাটাবেজ তৈরি করব।’
জাতীয় পর্যায়ে ১১টি ইভেন্টে বাছাইকৃত ১৬৪ জন খেলোয়াড়কে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্বাবধানে ২১ দিনের উন্নত প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এ প্রশিক্ষণে খেলোয়াড়দের ইভেন্টভিত্তিক মেধাতালিকা তৈরী করে তাদের প্রত্যেককে আজ সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি ইভেন্টে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী ০৫ জন খেলোয়ারকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেডারেশনে দীর্ঘমেয়াদী উন্নত প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা করা হবে।
পাপন বলেন, ‘তারা কোথায় কোন অবস্থানে আছে, আমরা মনিটরিং করবো। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হবে। যারা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনবে।’