বায়ার্নের ব্যর্থতার দায় একা নিতে নারাজ টুখেল

বায়ার্নের ব্যর্থতার দায় একা নিতে নারাজ টুখেল

গত বছরের মার্চে ইউলিয়ান নাগেলসমানকে বরখাস্ত করে বায়ার্ন দায়িত্ব দেয় থমাস টুখেলকে। সেখানে ছন্দের খানিকটা পতন ঘটলেও ভাগ্যের জেরে বেঁচে যায় জার্মান জায়ান্টরা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে গোল ব্যবধানের নাটকীয়তায় টানা ১১তম বুন্দেসলিগ শিরোপা জেতে বায়ার্ন।

সেই ছন্দ পতন থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে এখনো মরিয়া থমাস টুখেলের দল। তাতেই এবার শঙ্কা ১১ বছরের রাজত্ব হারানোর। বায়ার লেভারকুসেনের ৩৩ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রায় দলটির কাছে রেকর্ড হারানোর পর লিগ শিরোপার হারানোরও পথে বায়ার্ন। মৌসুমের এই অবস্থায় ২৩ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লেভারকুসেন এবং সমান ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫৩। এতে বায়ার্নের ফেরার পথ কার্যত আর নেই বললেই চলে।

এদিকে লিগের সবশেষ দুই ম্যাচেও হারের মুখ দেখেছে বায়ার্ন। এতে চলমান এই ব্যর্থতার জের চুক্তি এক বছর কমিয়ে চলতি মৌসুম শেষেই টুখেলকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত জানায় বায়ার্ন।

সেই ঘোষণার বিবৃতিতে বায়ার্ন জানায়, ক্লাব ও টুখেলের সফল বৈঠকের পরই এসেছে এই সিদ্ধান্ত। এতে সময় শেষের আগেই বরখাস্তের ঘোষণার সূত্র ধরে তুমুল সমালোচনার শিকার হতে হয় টুখেলকে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন এই জার্মান কোচ। জানালেন চলমান এই ব্যর্থতার দায় একা নিতে চান না তিনি।

শনিবার আরবি লাইপজিগের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেন টুখেল। সেখানে তিনি বলেন, ‘ক্লাবের সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক বোধগম্য হলো কি না, এতে আমি খুশি কি না, এসব আসলে কোনো ব্যাপার নয়। এখানে সবকিছু বেশ পরিষ্কার। আর এই চিন্তা-ভাবনায় পরিষ্কার অবস্থা থাকলে স্বাধীনতা আসে এবং যা অনুশীলনের জন্যও বেশ ভালো।’

যেন এমন সিদ্ধান্তে অনেকটা হাফ ছেড়ে বাঁচলেন টুখেল। যেন তার ওপর জেঁকে বসা চাপ থেকে কিছুটা হলেও পরিত্রাণ পাবেন।

সম্পর্কিত খবর