অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির দায়ে শাস্তির মুখে রোনালদো
নামটা যখন রোনালদো; তখন কি আর খুব বেশি দিন বিতর্ক থেকে দূরে থাকা যায়? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও পারছেন না। ইউরোপ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের কঠোর ধর্মীয় শাসনতন্ত্র চলা সৌদি আরব; রোনালদো ঠিকই জড়িয়ে যাবেন বিতর্কে। এই যেমন সৌদি প্রো লিগে পরশু রাতে আল শাবাবের বিপক্ষে ম্যাচেও রোনালদো জড়িয়ে গেলেন বিতর্কে। প্রতিপক্ষ সমর্থকদের উদ্দেশে করলেন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি।
অথচ আল শাবাবের বিপক্ষে ক্লাব ফুটবলের ৭৫০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করে ভক্তদের প্রশংসায় ভাসতে পারতেন পর্তুগিজ এই সুপারস্টার। কিন্তু না, এখন উল্টো সমর্থকদের উদ্দেশে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির দায়ে শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন এই আল নাসর তারকা।
অবশ্য রোনালদোর অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির দায়টা তার চেয়ে প্রতিপক্ষের সমর্থকদেরও কম নয়। এরপরও প্রশ্ন থাকেই- সমর্থকরা উসকে দিলেই বা কেন রোনালদোকে মাথা গরম করতে হবে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় রোনালদোর জন্য তো এটা নতুন কোনো ঘটনাও নয়।
ইদানীং তো প্রায় প্রতি ম্যাচেই রোনালদো মাঠে নামলে ‘মেসি মেসি’ বলে স্লোগান তুলে সমর্থকরা। এতদিনে এর সাথে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নেওয়ার কথা রোনালদোর। তবে না তিনি সমর্থকদের সেই ফাঁদেই পা দিলেন। ‘মেসির’ নাম শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। রাগ সামলাতে না পেরে ওই সব সমর্থকদের উদ্দেশে করলেন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। যা ধর্মীয়ভাবে কঠোর দেশ সৌদি আরবে কেন সব দেশেই দৃষ্টিকটু।
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এবার সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রোনালদো। সৌদি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির জন্য অন্তত দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন রোনালদো। পাশাপাশি জরিমানাও গুনতে হবে মোটা অঙ্গের। যার পরিমাণটা অবশ্য নিশ্চিত করেনি সংবাদ মাধ্যমটি।
রোনালদোর ক্ষেত্রে অবশ্য জরিমানা খুব বেশি ম্যাটার করে না। তবে যেটা সবচেয়ে বড় ভাবনার কারণ আল নাসরের জন্য তা হলো রোনালদোর নিষেধাজ্ঞা। কেননা, সেটি হলে বৃহস্পতিবার আল হাজমের বিপক্ষে ও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে আল আইনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রোনালদোর সার্ভিস পাবে না আল নাসর। আর সেটি হলে বেশ বিপদেই পড়তে হবে আল নাসরকে।