হাল্যান্ড তাণ্ডবে লুটনের জাল ‘লুট’ করে সিটির জয়
ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট। প্রবাদটা কিছু ফুটবলারের জন্য যেন যথার্থ আবিষ্কৃত। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে লুটন সিটির বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে একজন নয়, দুজনের জন্য এই প্রবাদটা। ফুটবলপ্রেমীদের এতক্ষণে অবশ্য বুঝে যাওয়ার কথা কোন সেই দুজন। গোলমেশিন আর্লিং হাল্যান্ড ও গোলের উদ্দেশ্যে বল বানিয়ে দেওয়ার কারিগর কেভিন ডি ব্রুইনা। লুটনের জাল লুট করে রীতিমত অর্ধডজন গোল দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৬-২ ব্যবধানের এই জয়ের ম্যাচে একাই পাঁচ গোল করেছেন হাল্যান্ড, এদিকে ছয় গোলের মধ্যে একাই চারটি বানিয়েছেন ডি ব্রুইনা।
এ নিয়ে পরপর দুই মৌসুমেই এক ম্যাচে পাঁচ গোলের কীর্তি গড়লেন হাল্যান্ড। এর আগে গত বছরের চ্যাম্পিয়নস লিগে লাইপজিগের বিপক্ষে পাঁচ গোল করেছিলেন এই নরয়েজীয় তারকা। ক্লাবটির ইতিহাসে এক ম্যাচে দুবার পাঁচ করার কীর্তি এখন কেবলই হাল্যান্ডের।
এবার ডি ব্রুইনা প্রসঙ্গে আসা যাক। ৩২ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান তারকা বয়সের সঙ্গে যেন হয়ে উঠছেন আরও পরিণত। যেখানে গোল করার দৌড়ে মেতে থাকেন বাকি ফুটবলার সেখানে গোল করানো ডি ব্রুইনার যেন রীতিমত এক ‘নেশা’। চোট কাটিয়ে ফিরে মৌসুমে কেবল ১২ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাতেই অ্যাসিস্টের সংখ্যায় ছাড়িয়ে গেছেন সতীর্থদের। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১০টি অ্যাসিস্ট করতে আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেসের লেগেছে ৩৫ ম্যাচ, সমান অ্যাসিস্ট করতে ফিল ফোডেন নিয়েছন ৩৭ ম্যাচ। তবে তাদের ছাড়িয়ে যাওয়া ১১ অ্যাসিস্ট স্রেফ ১২ ম্যাচেই করেছেন ডি ব্রুইনা। যেন এই বনের একমাত্র রাজা।
ম্যাচটির প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটের মাথাতেই হ্যাটট্রিক করেন হাল্যান্ড। এ নিয়ে সিটিজেনদের হয়ে আটবার হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে করেন আরও দুটি গোল। এবং ৭২টম মিনিটে দলের ম্যাচে সিটির সবশেষ গোলটি করেন মাতেও কোভাচিচ। এদিকে ঘরের মাঠে ৪৫ ও ৫২তম মিনিটে দুটি গোল শোধ করে লুটন।