ফোডেনের জোড়া গোলে ডার্বি জিতল সিটি
ইতিহাদে এদিন ম্যাচের শুরুতেই স্বাগতিকদের জালে বল প্রবেশ করান মার্কাস রাশফোর্ড। সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে যেই পরিমাণ সমালোচনা হচ্ছে তার জবাব তিনি এই বড় ম্যাচেই দিয়ে চাইলেন। তবে এই একটি আক্রমণের পর বাকি ম্যাচ জুড়ে যেন খুঁজেই পাওয়া গেল না ইউনাইটেডের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়দের।
স্বাগতিকদের প্রথমার্ধ শেষ হয়েছিল পিছিয়ে থেকেই। কিন্তু বিরতির পর আক্রমণের ধার আরও মজবুত করে সিটি, একের পর এক আগ্রাসী আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিল পেপ গার্দিওলার দল। ৫৬তম মিনিটে রদ্রির বাড়ানো বল দূরপাল্লার শটে প্রথমবার জালে প্রবেশ করান ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ড ফিল ফোডেন, সমতায় আসে ম্যান সিটি।
ইউনাইটেডের ওপর চাপ প্রয়োগ চালিয়ে যেতেই থাকে সিটি, যার ফল তারা পায় ম্যাচের শেষ ভাগে। ৮০তম মিনিটে আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেসের পাস থেকে নিজের ও দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি আদায় করেন ফোডেন। আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয় পুরো ইতিহাদ স্টেডিয়াম।
সিটির ম্যাচে হাল্যান্ড গোল না পেলে যেন ম্যাচটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়, এই ম্যাচেও যেটি হতে দিলেন না নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকার। যোগ করা সময়ে (৯১তম মিনিটে) রদ্রির পাস থেকে ডি-বক্সে বল পান হাল্যান্ড, সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি।
শুরুর একমাত্র গোল এবং শট ছাড়া বাকি ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি ইউনাইটেডের ফুটবলারদের। বল দখলের লড়াইয়ে দুই দলের অনুপাত টা ছিল ৭৩-২৭ শতাংশ। গোলের উদ্দেশ্যে সিটি শট চালিয়েছে মোট ২৭টি, যার মাঝে ৮টি ছিল গোলপোস্ট লক্ষ্য করে। অপরদিকে ইউনাইটেডের এই সংখ্যা টা মাত্র ১!
এই জয়ের মাধ্যমে শিরোপার লড়াইয়ের দৌড়ে নিজেদের এগিয়ে নিল ম্যানচেস্টার সিটি। ২৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬২। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৬৩। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। এছাড়া ২৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ইউনাইটেড আছে ছয়ে।