ম্যারাডোনার নাপোলিকে থামিয়ে কোয়ার্টারে ম্যারাডোনার বার্সেলোনা
ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ফুটবল এই জাদুকের ক্লাব ফুটবল প্রসঙ্গ এলে সবার আগে আসে নাপোলির নাম। নিজ দেশের বাইরে ইতালির নেপলসকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ম্যারাডোনা। নাপোলির কাছে এখনো যিনি ঈশ্বর সমান। সেখানে দীর্ঘ আট বছরের ক্যারিয়ারে পার করেছেন নিজের সোনালি সময়। তবে নিজ দেশের ক্লাবের পর ইউরোপে পাড়ি জমিয়ে সর্বপ্রথম যেই ক্লাবে ম্যারাডোনা খেলেছেন সেটি বার্সেলোনা। ১৯৮২ সালে যোগ দিয়ে কেবল দুই মৌসুম খেললেও এখনো তাকে সযত্নে মনে ধরে রেখেছে কাতালান ক্লাবটি। সেই থেকেই বার্সেলোনা-নাপোলির ম্যাচ হলেই সেখানে একটা বিশেষণ অনায়াসেই লেগে যায়, ‘ম্যারাডোনা ডার্বি’।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন লিগের এই ‘ম্যারাডোনা ডার্বি’র প্রথম লেগের ম্যাচটি নাপোলির মাঠে হয়েছিল ১-১ ড্র। এবার ফিরতি লেগে গতরাতে বার্সার মাঠে নিজেদের দখলদারিত্ব বজায় রেখে ৩-১ গোলের সহজ জয় পায় বার্সা। এতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে ২০১৯-২০ মৌসুমের পর এই প্রথম শেষ ষোলোর ধাক্কা সামলে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাল স্প্যানিশ ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুর দিকেই দুই মিনিটের ব্যবধানে (১৫ ও ১৭ মিনিটে) ফেরমিন লোপেজ ও জোয়াও কানসেলোর দারুণ ফিনিশিংয়ে জোড়া গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
৩০তম মিনিটে এসে এবার ব্যবধান কমায় নাপোলি। গোলটি আসে আমির রাহমানির পা থেকে। সেখান থেকে একদম ম্যাচের শেষ পর্যন্ত আক্রমণে নাপোলিকে সেভাবে কোনো সুযোগই দেয়নই বার্সা ডিফেন্ডাররা। এদিকে এদিন নিষ্প্রভ ছিল নেপলসদের ফরোয়ার্ড ভিক্টর ওসিমেনও। যার বিপক্ষেই বার্সার মূল লড়াই দেখছিল অনেকেই। উল্টো ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে আরও একটি গোল হজম করে নাপোলি। ম্যাচে বার্সার শেষ গোলটি করেন পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ট লেভানডভস্কি।