‘ফিরতে পারব কি না, তাও তো জানতাম না!’
সেই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে পা পড়েছিল তার। এরপর থেকে একে একে ৮৭ দিন কেটে গেছে, কাজী সালাউদ্দিন আসেননি বাফুফে ভবনে। সভাপতি হওয়ার পর এত দিনের বিরতি আর কখনোই হতে দেননি বাফুফে কর্তা। এবার অবশ্য কারণটা অনিবার্য্যই ছিল। হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল তাকে। সে বিরতি শেষে তিনি আজ এসেছেন ফেডারেশনে।
বছর তিনেক আগে করোনায় যখন পুরো বিশ্ব স্থবির, তখনও কাজী সালাউদ্দিন ফেডারেশনে গিয়েছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে। এবার নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি সে পথে বাঁধা দেয় তাকে।
অবশেষে সব শঙ্কা কেটে গিয়েছে। সালাউদ্দিন ফিরেছেন বাফুফে ভবনে। তবে এভাবে তিনি ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়েও তিনি নিজে ছিলেন শঙ্কায়। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান এ কথা।
অস্ত্রোপচারের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতাটা তার নতুন কিছু নয়। তবে তিনি জানালেন, আগের অস্ত্রোপচার আর এবারেরটায় পার্থক্যটা আকাশ আর পাতালের। তিনি বলেন, ‘এর আগে একবারই অপারেশন থিয়েটারে গিয়েছি হাঁটুর অপারেশন করাতে। তার সঙ্গে তো আর হার্টের অপারেশনের তুলনা হয় না! তখন যে চিন্তা ছিল সেটা হলো আমি আর খেলতে পারব কি না! জীবনের তো কিছু হবে না, হংকংয়ে অপারেশনের পর খেলতে পারবো নাকি এটা নিয়ে ভাবনা ছিল। এবার ভাবনা ছিল আমি বাঁচতে পারব কি না! পারলেও কীভাবে পারব!’
বছর দশেক আগেই সালাউদ্দিনের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়েছিল। তখন থেকে তিনি চলছিলেন চিকিৎসকের নির্দেশনায়। তবে গেল ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নামফলক উদ্বোধন করে বাসায় ফেরার সময় বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। হাসপাতালে নেওয়া হলে কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে তার হৃদযন্ত্রে। যার ফলে বাইপাস সার্জারি করাতে হয় তাকে।
তা শেষে বিশ্রামে ছিলেন বেশ কিছু দিন। এরপর আজ এলেন বাফুফে ভবনে। সালাউদ্দিন জানান, অস্ত্রোপচারের পরে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি তার জীবনযাত্রায়। ডাক্তাররা কোনো পরিবর্তনই তাকে আনতে বলেননি! তিনি বলেন, ‘না আমাকে কোনো পরিবর্তন আনতে বলেনি। খাওয়া দাওয়ায় আমার কোনো বাঁধা নাই। এতদিন আমি দুপুরেও বিফ খাইসি, বিকালেও বিফ খাইসি। কারণ আই ক্যান গেট কোয়ালিটি বিফ। আমি স্টেক দুপুরে খেয়েছি, সন্ধ্যায় খেয়েছি ল্যাম্ব চপ । সো নো চেঞ্জ। দ্য অনলি চেঞ্জ যেটা হইছে, সেটা হচ্ছে সিগারেটটা ছাড়তে হইছে।’