খেলা দেখে কোচের সঙ্গে ‘খারাপ ব্যবহার’ করেছেন সালাউদ্দিন
দীর্ঘ তিন মাস পর বাফুফে ভবনে ফিরেছেন। এই তিন মাসে বেশ কিছু আলোচিত-সমালোচিত ঘটনাই ঘটে গেছে ফুটবল পাড়ায়। তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ নারী সাফ। সেবারের ফাইনালে টস কাণ্ডে নানা নাটকের পর শেষমেশ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
গেল ফেব্রুয়ারিতে এই কাণ্ড যখন হচ্ছে, কাজী সালাউদ্দিন তখনও বিশ্রামে। তবে তিনি বিশ্রামে থেকেই সবকিছুতে চোখ রেখেছেন ভালোভাবে। ফাইনালের টস কাণ্ডও দেখেছেন নিজ চোখে।
সে ফাইনালে টসের সিদ্ধান্তের পর তিনি ফোন দিয়েছিলেন সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালকে। সাফের সভাপতি তিনি। টসের সিদ্ধান্তে তিনি রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছিলেন, জানালেন আজ। তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন ছিল যে এই ভুল কেন হবে? আমি তো আমার অফিস স্টাফদেরও স্যাক করে দেওয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলাম।’
তবে এই সিদ্ধান্ত তো সাফের কারও ছিল না আদৌ। সে দিন সে ফাইনালে এই সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া দিলানের। সে বিষয়টা জানার পরই মূলত তার ক্ষোভ দমে যায়। তিনি বলেন, ‘যখন জানলাম এই সিদ্ধান্ত কার তখন কিচ্ছু বলিনি। যদি আমার অফিস করত, তাহলে আমি তাদের ৪-৫ জনকে স্যাক করে দিতাম। এই ধরনের কিছু তো হতে পারে না!’
এ ছাড়াও সে সাফের খেলা খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারেনি বাফুফে সভাপতিকে। কারণ, তার চোখে, দলগুলোর খেলা খুব একটা ‘ভালো’ হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি সব দেখছি, ১৯ দেখছি, ১৬ দেখছি। দেখার পর আমি কোচের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করিনি, খারাপ ব্যবহার করেছি, কারণ খেলার মান আমার পছন্দ হয়নি।’
তবে এরপরও সাফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তার কৃতিত্বটা মাহফুজা আক্তার কিরণের অধীনে থাকা নারী ফুটবল কমিটিকে দেন সালাউদ্দিন। বলেন, ‘মেয়েদের ফুটবলে যা হয়েছে, তার জন্য আই ওয়ান্ট টু কংগ্র্যাচুলেট মাহফুজা আক্তার কিরণ কমিটি। কারণ আমাদের মেয়েরা সাফে সিনিয়রদের চ্যাম্পিয়ন, অ১৯, অ১৬ চ্যাম্পিয়ন, সাফের আনডাউটেডলি সাউথ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন।’