কাবরেরার চাওয়া ইতিবাচক ফলাফল
অপেক্ষার প্রহর শেষ। এবার মাঠে নামার পালা। সেই ২ মার্চ থেকে সৌদি আরবে শুরু হওয়া ক্যাম্প শেষ করে দল এখন কুয়েতে। আজ নামবে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে। এই ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা চাইছেন ইতিবাচক কোনো ফলাফল।
সবকিছু ফিফার সূচি মেনে হলে অবশ্য আজ খেলাটা হওয়ার কথা বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। তবে ফিলিস্তিনের অনুরোধে হোম আর অ্যাওয়ে ম্যাচের সূচিগুলো অদল-বদল করে নেওয়া হয়। তাতে দুই দলের ম্যাচের নিয়তিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না অবশ্য।
ম্যাচের আগের বাস্তবতাটা হলো, ফিলিস্তিন বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে অনেক। সবশেষ এশিয়া কাপে দলটা খেলে এসেছে নকআউট রাউন্ডে। ওদিকে বাংলাদেশ? কোচ হাভিয়ের কাবরেরাই যেমন জানালেন, ‘ভারসাম্য খোঁজার চেষ্টা’ চলছে এখনও!
বললেন, ‘আমরা এমন একটা দল যারা এখনো উন্নতি করছি, বিশেষ করে শেষ এক বছরে। বেশ কিছু নতুন মুখ আমরা দলে এনেছি। সঠিক সিনিয়রদের দলে নিয়ে আমরা ভারসাম্য খোঁজার চেষ্টা করছি। নিবেদিত সিনিয়র আর প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দলটা গড়তে চাই।’
তবে সৌদি আরবের প্রায় দুই সপ্তাহ দীর্ঘ ক্যাম্প থেকে প্রাপ্তিটা বেশ ভালো। তাই ম্যাচে নামার আগে কোচ কাবরেরা বেশ তৃপ্ত দলের প্রস্তুতি নিয়ে। বললেন, ‘এখানে আমরা এসেছি সৌদিতে ভালো একটা ক্যাম্প শেষ করে। এখানে আসার আগে আমরা যে প্রস্তুতিটা নিয়েছি, তাতে আমরা বেশ খুশি। সুদানের বিপক্ষে বেশ ভালো একটা অনুশীলন ম্যাচ কাটিয়েছি আমরা। এখানের আবহাওয়ার সঙ্গেও ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি। এখানকার আতিথ্যটা দারুণ, সুযোগ সুবিধা বেশ ভালো। আমরা বিশ্বাস করি আমরা বেশ ইতিবাচক একটা সময়েই এই ম্যাচে পা রাখছি।’
দুই দলের ফারাকটা তাই বিস্তর! কোচ কাবরেরা অবশ্য এরপরও আশায় বুক বাধছেন। তার এই আশার উনুনে জ্বালানি হচ্ছে নিকট অতীত। এই কিছুদিন আগেই যে লেবাননকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ! ফিলিস্তিনকেও যদি ওই একই কৌশলে ধরাশায়ী করা যায়!
তিনি বললেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষের মান ও শক্তিসামর্থ্য সম্পর্কে আমরা বেশ বাস্তবিক জ্ঞান রাখি, বিশেষ করে জানুয়ারিতে তারা যে এশিয়া কাপ ক্যাম্পেইনটা কাটিয়েছে তার পর। খুব বেশি দিন আগে নয়, আমরাও তুলনামূলক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে, র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। সেই একইভাবে আমরা কাল ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবো। আশা করছি আমরা ইতিবাচক একটা ফলাফলই পাব।’