১০ মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো বাংলাদেশের সঙ্গী মিসের আক্ষেপ
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের চাওয়া খুব বেশি কিছু ছিল না। ম্যাচটা থেকে একটা পয়েন্ট পাওয়া কঠিনই ছিল। তবে সে কঠিনের পথেই হাঁটছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা, অন্তত শুরুর ৪০টা মিনিটে। তবে এরপর ১০ মিনিটের এক ঝড়ে এলোমেলো হয়ে পড়ল বাংলাদেশ। ম্যাচটা শেষমেশ ৫-০ গোলে হেরেছে, ওই দশ মিনিটেই বাংলাদেশের জালে জড়িয়েছে ৪টি গোল।
তবে এমন ম্যাচও আফসোসের উপলক্ষ এনে দিয়েছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। প্রথমার্ধে একটা দারুণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। সেই গোলটা শেষমেশ করা যায়নি। আফসোসটা এ কারণেই। ওই গোলটা হলে যে ম্যাচটার গল্প অন্যরকমও হতে পারত!
ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসটা ভালো নয় মোটেও। এর আগে ৬টি ম্যাচ খেলে জিততে পারেনি একটিতেও। প্রথম ম্যাচটা বাদে হেরেছে সবকটিতে। এই সব ম্যাচে গোলও করতে পারেনি বাংলাদেশ।
কালও সে আক্ষেপটা ঘোচাতে পারল না বাংলাদেশ। গোল পায়নি কালও। তবে গতকাল একটা জায়গায় পরিবর্তন এসেছে, যা বাংলাদেশ চায়নি মোটেও। ইতিহাসে কখনোই ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুই গোলের বেশি হজম করেনি দল। কাল এক ম্যাচেই করল ৫ গোল!
৪৩ মিনিটে ওদে দাবাঘের গোলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। মুসাব বাত্তাহর শট গোলরক্ষক মিতুল মারমা সেভ করলেও দাবাঘের ফিরতি চেষ্টাটা আর থামাতে পারেননি। এরপর বিরতির বাঁশি বাজার আগে আরও এক গোল জড়ায় বাংলাদেশের জালে। কর্নার থেকে সোহেল রানার পায়ে বল লেগে তা গিয়ে পড়ে শিহাব কুম্বরের সামনে। প্রথম ছোঁয়াতেই তিনি বল জড়ান জালে।
এরপরের গোলটা আসে ৪৯ মিনিটে। এবারও গোলটা করেন ওই কুম্বরই। প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটা পাওয়ার পর সেটা দ্বিগুণ করতে সময় নেননি তিনি। এবারও কর্নার থেকে গোলটা করেন তিনি। ৩ মিনিট পর আরও এক গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। এবার গোলটা করেন দাবাঘ। এরপর তিনি হ্যাটট্রিকটাও পূরণ করেন ৭৭ মিনিটে।
অথচ এমন কিছু হতে যাচ্ছে ম্যাচে, শুরুর ৪০ মিনিট মোটেও তা বলেনি! র্যাংকিংয়ে ৮৬ ধাপ এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বেশ ভালো। স্বাভাবিকভাবেই ফিলিস্তিনের দাপট ছিল ম্যাচে। তবে মিতুল মারমার একাধিক সেভ ম্যাচে রাখে দলকে।
তবে শুরুর এই সময়টায় পুরো দল প্রেস করছিল দারুণভাবে। প্রতিপক্ষ অর্ধে সেকেন্ড বল জিতছিল নিয়মিত। তাতে সুযোগও এসেছিল। ৩৭ মিনিটে ফয়সাল ফাহিমের কাটব্যাকে বল গিয়ে পড়েছিল সোহেল রানার পায়ে। বেশ ফাঁকায় থেকেও বলটা লক্ষ্যের অনেক ওপর দিয়ে তিনি পাঠান বাইরে। ম্যাচের পর ওই গোলটা না পাওয়ার আক্ষেপই মূলত বড় হয়ে উঠেছে। তখন স্কোরলাইন ছিল ০-০, গোলটা হয়ে গেলে যে ম্যাচের দৃশ্যটা অন্যরকমও হতে পারত!