৩ পেনাল্টির ম্যাচে ব্রাজিল-স্পেন রোমাঞ্চ শেষ ৩-৩ ড্রয়ে
পূর্ণকালীন কোচ পেয়েই যেন বদলে গেল ব্রাজিল। চোটে ভরা স্কোয়াড নিয়েই আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেলেসাওদের শুরু হয়ে দরিভাল যুগ। সেই ধারা ধরে রাখল পরের আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষেও। শুরুতে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও প্রত্যাবর্তনের দারুণ গল্প লিখে ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটেই যেন রোমাঞ্চ ছড়াল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের যোগ করা সময়েরও একদম শেষ মুহূর্তে এসে গোল করে ম্যাচ ৩-৩ গোলের সমতায় আনে দরিভাল জুনিয়রের দল।
চলতি মাসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নামে ব্রাজিল। মূলত ম্যাচগুলো কোপা আমেরিকার প্রস্তুতিমূলক হলেও তা ইউরোপ জায়ান্টদের বিপক্ষে খেলে সারছে ভিনিসিউস-রদ্রিগোরা।
স্পেন অবশ্য তাদের আগের প্রীতি ম্যাচটিতে ১-০ গোলে হেরেছে। এবার সেই ম্যাচের শুরু একাদশ থেকে ১০ পরিবর্তন নিয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে নামে ২০১০ আসরের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এদিকে ব্রাজিল নামে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়েই যায় স্প্যানিশরা। ১১তম মিনিটে ফরয়াদ লামিনে ইয়ামালকে ফাউল করে বসেন ব্রাজিল ডিফেন্ডার জোয়াও গোমেজ, তাও আবার ডি-বক্সের মধ্যেই। সেখানে পেনাল্টি পেয়ে সফল স্পট কিক নেন রদ্রি এবং এগিয়ে যায় স্পেন।
৩৫তম মিনিটে ম্যাচে দ্বিতীয় গোল হজম করেই বসেছিল ব্রাজিল। দলের মূল দুই গোলরক্ষক এডারসন ও আলিসন চোটের কারণে স্কোয়াডে না থাকায় গোলপোস্ট সামলাচ্ছেন বেন্তো। সেই গোলরক্ষক সেখানে বল ক্লিয়ার করতে যেয়ে ফাউল করে বসেন স্পেন মিডফিল্ডার দানি ওলমোকে। তবে ভাগ্য সেখানে ছিল সহায়, ফিরতি বলও যায়নি জালের উদ্দেশ্যে, আবার বাজেনি রেফারির বাঁশিও।
তবে পরের মিনিটে সেই দানি ওলমোতেই ব্যবধান বাড়ে ব্রাজিলের। ডি-বক্সে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের পাশ কাটিয়ে কোনাকুনি দারুণ এক শটে স্কোরলাইন ২-০ তে আনেন তিনি।
১৬ বছর বয়সী ইয়ামালদের আধিপত্য যখন শুরু থেকেই বজায়, সেখানে এবার ১৭ বছর বয়সী এন্দ্রিকের দলের প্রত্যাবর্তনের পালা। দ্বিতীয় গোল হজমের মিনিট তিনেক পরেই ব্যবধান কমায় ব্রাজিল। ৪০তম মিনিটে নিজেদের ডি বক্সে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমন। ফিরতি পাস পেয়ে সতীর্থকে পাল্টা পাস দিতে যেয়ে ভুলে রদ্রির উদ্দেশ্যে বড় বাড়িয়ে দেন তিনি। সেখানে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সিমনের মাথার অনেকটা ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান রদ্রি। প্রথমার্ধ শেষ হয় সেই ২-১ স্কোরলাইনেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই সমতায় ফিরতে মরিয়া ব্রাজিল শুরু করে আক্রমণাত্মক ফুটবল। যার ফলমিনিটে চারেক পরেই। কর্নার কিক থেকে আসা বল নিয়ে জটলা পাকে স্পেন রক্ষণে। সেখানে ফিরতি বল পেয়ে তা জালে জড়ান এন্দ্রিকে। এ নিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে টানা দুই ম্যাচেই গোল পেলেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের শেষ দিকে এসে এবার লড়াইটা যেন হলো পেনাল্টির। ৮৭তম মিনিটে আরও এক সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে যেন রদ্রি। পরে যোগ করা সময়ে ৯০+৬ মিনিটে লুকাস পাকেতার পেনাল্টির গোলে আরও একবার সমতা ফিরে ৩-৩ জয়ে শেষ হয় রোমাঞ্চকর ম্যাচটি।