রদ্রিগোর জোড়া গোলে রিয়ালের দাপুটে জয়
দলের আক্রমণভাগে নেই ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র। এদিকে বিপক্ষে তালিকার চারে থাকা অ্যাথলেটিক বিলবাও, যারা আসরে এখন পর্যন্ত সবেচেয়ে বেশি ‘ক্লিনশিট’ রাখা দল। এতোসব কোনো অংশেই যেন ভাবাল না রিয়াল মাদ্রিদকে। এক ব্রাজিলিয়ান তারকার অনুপস্থিতির দিনে হাল ধরলেন আরও এক ব্রাজিলিয়ান তারকা। সেখানে রদ্রিগোর জোড়া গোলেই বিলবাওয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতে রিয়াল। আর এতেই শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
আগের দুই ম্যাচেই হলুদ কার্ড দেখায় এই ম্যাচে দলের বাইরে থাকতে হয় ভিনিসিউসকে। অবশ্য এই ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতির দিনে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেছেন মধ্য মাঠের অন্যতম তারকা জুড বেলিংহাম।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় রিয়াল। অষ্টম মিনিটে ব্রাহিম দিয়াসের থেকে পাস পেয়ে একক রানে মধ্য মাঠ থেকে ডি বক্সের দিকে এগোন রদ্রিগো। ততক্ষণে নিজেদের রক্ষণ শক্তি বাড়াতে বিলবাওয়ের ডি-বক্সে অবস্থান নেয় ৪ থেকে ৫ জন ডিফেন্ডার। তবে সেখানে ডি-বক্সের বাইরে থেকেই ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ডানপায়ের বাঁকানো শট প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে জড়ায় সোজা জালে।
প্রথমার্ধে শেষ দিকে এসে এবার ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তবে তা ফিরিয়ে দেন বিলবাও গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এবার ব্যবধান দ্বিগুণ করেই ফেলেছিল রিয়াল। ৪৯তম মিনিটে রদ্রিগোর নিখুঁত পাস খুঁজে নেয় ব্রাহিমকে। দারুণ এক টাচে গোলরক্ষকেও পরাস্ত করেছিলেন, তবে বল যেয়ে লাগল পোস্টে। এর মিনিট দুয়েক পর আক্রমণ রিয়ালের রক্ষণে। তবে গোলরক্ষক লুনিনের দুর্দান্ত সেভে সে যাত্রায় বাঁচে স্বাগতিকরা।
৭৩ মিনিটে এসে ব্যবধান বাড়ায় রিয়াল। সেখানে আরও একবার রদ্রিগোর নৈপুণ্য। বেলিংহামের পাস ধরে ডি-বক্সের ঢুকে একজনকে পাশ কাটিয়ে বল জালের ঠিকানায় পাঠান তিনি। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে রিয়ালের হয়ে ১৫টি গোল করলেন রদ্রিগো। পরে আরও কোনো কার্যকরী সুযোগ তৈরি করতে না পারলে এই ২-০ স্কোরলাইনেই মাঠ ছাড়ে দল দুটি।
এই জয়ে শীর্ষের স্থান আরও মজবুত করলো রিয়াল। ৩০ ম্যাচ শেষে কার্লো আনচেলত্তির দলের পয়েন্ট ৭৫। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৬৭।