প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শেষ চারে মোহামেডান
ম্যাচের বয়স তখন এক মিনিটও হয়নি। গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে তখনই চমক দেখাল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। ২৬ সেকেন্ডে গোল করে বসলেন সেকু সিল্লা। শুরুর মিনিটে সেই এক গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানই শেষ মুহূর্তে হাসল শেষ হাসিটা।
মাঝের সময়ে দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে বসেছে সাদা-কালোরা। শেখ রাসেলের বিপক্ষে ২-১ গোলের এই জয় তাদের নিয়ে গেছে আরও এক শিরোপার কাছে। চলে গেছে ২০২৪ ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে।
ম্যাচের শেষটা এমন হবে, তার আঁচ ম্যাচের শুরুতে মিলছিল না অবশ্য। শুরুর মিনিটে রক্ষণের ভুলে সেকু সিল্লার করা সে গোল শোধের চেষ্টা কোচ আলফাজ আহমেদের দল করেছে প্রাণপণে। তবে তাতে লাভের লাভ কিছু হচ্ছিল না। ফরোয়ার্ড লাইনের ব্যর্থতায় শেষমেশ সমতাসূচক গোলটা পাচ্ছিল না মোহামেডান।
বিরতির আগে আর গোল শোধ করা হয়নি। ১-০ গোলে পিছিয়েই বিরতিতে যেতে হয় গেল বারের ফেড কাপজয়ীদের। বিরতির পরেও দৃশ্যে বদল আসছিল না। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গিয়েও গোলটা শেষমেশ আসছিল না!
শেষমেশ মোহামেডানকে সেই বহু আরাধ্য গোলের দেখা পাইয়ে দেন মিডফিল্ডার মোজাফফর মোজাফফরভ। বক্সের বাইরে থেকে গোল করাটা তার স্বভাব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গেল গেমউইকেও করেছেন এমনই এক গোল। করলেন আজও। তবে মাহাত্ম্যের দিক থেকে আজকেটাই এগিয়ে থাকবে। এই গোল না হলে যে একটা শিরোপার সম্ভাবনা ধুলোয় মিশে যেতে পারত!
সেই এক গোলের পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মোহামেডানকে। শেখ রাসেলের আত্মবিশ্বাসে চোট লাগে তখন। শেষ মুহূর্তে গিয়ে তার ফায়দা তোলে সাদা কালোরা।
ম্যাচের ইনজুরি সময় চলছে তখন। ঠিক তখন ডান পাশ দিয়ে উইংয়ে থাকা আরিফ হোসেনের কাছে চলে যায় বল। সেখান থেকে তার নিচু ক্রস গেল মাঝে থাকা জাফর ইকবালকে খুঁজে পায়। জাফর প্রথম শটে গোল না পেলেও ফিরতি চেষ্টায় গোলরক্ষক মিতুল মারমা সহ শেখ রাসেল রক্ষণকে বোকা বানিয়ে করেন জয়সূচক গোলটা।
এই জয়ে আরও এক ফেড কাপের সেমিতে পা রাখল কোচ আলফাজ আহমেদের দল। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে শেখ জামাল-বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যকার তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ী দল। অন্য দুই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে বসুন্ধরা কিংস-রহমতগঞ্জ, আর আবাহনী-ফর্টিস।