আবাহনীর খলনায়ক কর্নেলিয়াস, ত্রাতাও কর্নেলিয়াস
ম্যাচটা হারতেই বসেছিল আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয়ার্ধে হজম করে বসা গোলটা কোনোক্রমেই শোধ করা যাচ্ছিল না। এক একটা মিনিট যাচ্ছিল, আর আবাহনী যেন হাঁটছিল অবধারিত হারের পথে।
অবশেষে ইনজুরি সময়ে গিয়ে মিলল সাফল্য। রেফারির শেষ বাঁশির কিছু আগে আবাহনীর ত্রাতা হয়ে এলেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। তার একমাত্র গোলেই ফরটিস এফসির সঙ্গে ১-১ গোলের কষ্টার্জিত ড্র তুলে নিয়েছে রেকর্ড সংখ্যক লিগ জেতা দলটা।
নিজেদের মাঠ গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে বেঞ্চে রেখেই মাঠে নামে কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। জামালকে ছাড়াও অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরিয়েছে আবাহনী। যদিও গোলের দেখা পায়নি তারা, তার দায়টা পুরোপুরি আক্রমণভাগেরই।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় একাধিক সুযোগ পেয়েছে আবাহনী। তবে তার কোনোটিই গোলে রূপ পায়নি। ২২ আর ২৪ মিনিটে কর্নেলিয়াস দুবার শট নেন ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। বিরতির আগেও গোলের সুযোগ নষ্ট হয় তিনি গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দিলে।
৬১ মিনিটে গিয়ে অনেকটা ধারার বিপরীতে গিয়েই গোল করে বসে আগের ম্যাচে মোহামেডানের কাছে ৪ গোল হজম করা ফরটিস। বক্সের জটলা থেকে পাওয়া বল আবাহনীর জালে পাঠিয়ে দেন ইউক্রেনীয় মিডফিল্ডার ভ্যালেরি গ্রিশিন।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম লেগে এই ভ্যালেরির গোলেই হেরেছিল আবাহনী। দ্বিতীয় লেগেও আবার তার গোল, আবাহনী শিবিরে ভয় না ছড়িয়েই পারে না। সময় যত বাড়ছিল, হারের শঙ্কাটা পাল্লা দিয়ে বাড়ছিলই কেবল।
যোগ করা সময়ে এসে সে শঙ্কাটা দূর করেন কর্নেলিয়াস। এ পর্যন্ত লিগে ৮ ম্যাচ খেলে ৮ গোল করেছিলেন তিনি। শেষ সময়ে এসে গোলের দেখা পেয়ে যান আজও। কর্নারের জটলা থেকে গোল করে বসেন তিনি। তার এই গোলেই একটা পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
এই ড্রয়ের পর ১১ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী রইল টেবিলের তিনে। আর ফরটিস এফসি ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ষষ্ঠ স্থানে।