‘খুবই বাজে রেফারিং বার্সার চ্যালেঞ্জটা শেষ করে দিয়েছে’
৫ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকছিল বার্সেলোনাকে। তবে সে সম্ভাবনাটাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি কাতালানরা। পিএসজির কাছে হেরেছে ৪-১ গোলে। এমন হারের পর কোচ জাভি এর্নান্দেজ দোষটা চাপালেন রেফারি ইস্তভান কোভাকসের কাঁধে। জানালেন ‘খুবই বাজে রেফারিং’ তার দলের সব সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছে।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে ব্র্যাডলি বারকোলাকে টেনে ধরে লাল কার্ড দেখেন দলটির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো, তখন বার্সা এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে, সামগ্রিক স্কোরলাইনেও কাতালানরা ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। এরপর থেকেই বার্সেলোনার উল্টোরথে চেপে বসার শুরু। ১০ জনের দলটার জালে এরপর গুণে গুণে ৪ গোল জড়ায় পিএসজি। ৬-৪ গোলে জিতে চলে যায় সেমিফাইনালে।
ম্যাচের পর বার্সা কোচ জাভি মভিস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা লজ্জার বিষয় যে, পুরো মৌসুমের পরিশ্রম এমন একটা ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্তে ধূলিসাৎ হয়ে গেল। ওই লাল কার্ডটার কোনো দরকারই ছিল না!’
এরপর থেকে জাভি রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়েই গেছেন। শেষমেশ দ্বিতীয়ার্ধে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ডই দেখে বসেন। যে কারণে তিনি ছিলেন না ম্যাচের পরে সংবাদ সম্মেলনেও।
সাক্ষাৎকারে এরপর তিনি রেফারিকে রীতিমতো ধুয়ে দেন। বলেন, ‘এই রেফারিটা খুবই বাজে। আমি তাকে বলেছি, সে খেলাটাই বুঝে না।’
আরাউহোর সেই লাল কার্ডের পর বাধ্য হয়ে পরিবর্তন আনতে হয় কোচ জাভিকে, কারণ তখন দলের রক্ষণে একমাত্র সেন্টারব্যাক ছিলেন পাউ কুবারসি, যার বয়স ১৮ও ছোঁয়নি এখনও! রক্ষণে লোকবল বাড়াতে গিয়ে আক্রমণভাগের সেরা খেলোয়াড় ১৬ বছর বয়সী লামিন ইয়ামালকে তুলে নেন বার্সা কোচ। এই ইয়ামালই দারুণভাবে পিএসজি রক্ষণ ভেঙে রাফিনিয়াকে দিয়ে করিয়েছিলেন প্রথম গোলটা। তার চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনার আক্রমণও ভোঁতা হয়ে যায় একেবারে।
জাভি বলেন, ‘আমরা ক্ষুব্ধ। ওই লাল কার্ডটা পুরো লড়াইয়ের ভাগ্যটাই নির্ধারণ করে দিয়েছে। আমরা বেশ আঁটসাঁট ছিলাম। আমার মতে, লাল কার্ডটা অনেক বড় শাস্তি হয়ে গেছে। সেখান থেকে লড়াইটা পুরোপুরি বদলে গেছে। লামিনকে তুলে নেব কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম; সে অনেক ভালো খেলছিল। ওই মুহূর্তটাই লড়াইটা বদলে দিয়েছে।’