হকি লিগ ‘ফাইনালে’ খেলবে তো মোহামেডান?
গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগের অঘোষিত ফাইনাল আজ। শিরোপাজয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে মোহামেডান, আজ তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী। তাদের আর মেরিনার্সেরও শিরোপার সুযোগ আছে বেশ। তবে তার জন্য মোহামেডানকে হারতেই হবে।
এমন পরিস্থিতিতে এসে মোহামেডান রীতিমতো সরে দাঁড়ানোর হুমকিই দিয়ে বসেছে। হলুদ কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় রাসেল মাহমুদ জিমিকে এই ম্যাচে পাবে না দলটা। একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে ক্লাবটা। জিমির নিষেধাজ্ঞা না সরালে দিয়েছে আবাহনী ম্যাচে না খেলার হুমকিও।
আজ মাঠে গড়াবে লিগের শেষ দুই ম্যাচ। তার ঠিক আগে ১৪ ম্যাচে মোহামেডানের পয়েন্ট ৩৫। মোহামেডান-আবাহনীর ভাগ্যটা নিজ হাতেই আছে, দুই দল যেহেতু একে অন্যের মুখোমুখি, সেহেতু ম্যাচটা জিতলেই হলো! মোহামেডানে আছে আরেকটু সুবিধাজনক অবস্থানে, তারা ড্র করলেও শিরোপা জিতে যাবে। তবে মেরিনার্স তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচের দিকে। নিজেদের ম্যাচে যদি তারা জিতে যায়, আর আবাহনী হারিয়ে দেয় মোহামেডানকে, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ৩৬। হকি লিগের শিরোপার নিষ্পত্তি হবে প্লে অফে গিয়ে।
তবে এই আবাহনী-মোহামেডান ফাইনালের আগে নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, মোহামেডান রীতিমতো ম্যাচ না খেলার হুমকি দিয়েছে। পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে হকি ফেডারেশনের বিরুদ্ধে।
লিগের নিয়ম বলছে, এক খেলোয়াড় তিন হলুদ কার্ড দেখলেই পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকবেন। মোহামেডানের রাসেল মাহমুদ জিমি সবশেষ ম্যাচে তার তৃতীয় হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন। তাই আবাহনী ম্যাচে তিনি থাকবেন না। তবে মোহামেডান এখানেই টানছে পক্ষপাতের অভিযোগ।
কেন? কারণ নিয়মানুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় লিগ চলাকালে দুই হলুদ কার্ড দেখে ফেললে চিঠির মাধ্যমে সতর্ক করতে হবে তার ক্লাবটিকে।
মোহামেডান কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘জিমি দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ার পর বাইলজ অনুযায়ী লিগ কমিটির তো আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথা। কিন্তু মোহামেডান ক্লাবকে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়নি।’ সে কারণে মোহামেডান দাবি করছে জিমির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের।
সারোয়ারের ভাষ্য, ‘দুই কার্ডের পর ফেডারেশন থেকে সতর্কতামূলক কোনো চিঠি না দেওয়ায় জিমিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।’ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও মোহামেডান অবিচারের শিকার হয়েছে বলে জানান তিনি, ‘অনেক সময় মোহামেডান নানা সূক্ষ্ম কারচুপি ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
ম্যাচ বয়কটের হুমকি ক্লাবের কর্তারা দিলেও কোচ শহিদুল্লাহ টিটু অবশ্য দলকে প্রস্তুত রাখছেন। শেষ সময়ের প্রস্তুতিটা নিয়ে রেখেছে তার দল। এখন শেষ পর্যন্ত সে প্রস্তুতিটা মাঠের খেলায় কাজে লাগে কি না, তাই দেখার বিষয়।