৬ হলুদ কার্ডের ম্যাচে আবাহনীর জয়ের নায়ক দুই বিদেশি
শেখ জামালের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল ঢাকা আবাহনী। তবে এদিন ম্যাচের শুরুতে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ম্যাচ শুরুর ৮ মিনিটের মাথায় গোল হজম করতে হলো আবাহনীকে। অবশ্য এই দৃশ্য পাল্টে যেতে সময় লাগল না খুব বেশি। প্রথমার্ধেই শেখ জামালের জালে দুটি গোল জড়িয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল আবাহনী।
যেই ব্যবধান দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘোচানো হয়নি শেখ জামালের। ২-১ গোলের জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে ষষ্ঠ জয় পায় আবাহনী। যেই জয়ের নায়ক দলটির দুই বিদেশি ফুটবলার ফার্নান্দেস ও কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। ১২ ম্যাচ শেষে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের তিন নম্বরে।
গোপালগঞ্জে এদিন দু’দলের ফুটবলাররাই ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক। তাই পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ম্যাচের রেফারিকেও। পুরো ম্যাচে দু’দলের মোট ৬ ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। আবাহনীর ফুটবলারদের মধ্যে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে ডিফেন্ডার মাসুদ রানা, মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হৃদয় ও আক্রমণভাগের ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ফার্নান্দেসকে। অন্যদিকে শেখ জামালের হয়ে হলুদ কার্ড দেখেছেন রক্ষণভাগের শোখরুখবেক খুলমাতভ, হিগর লেইট ও তাজ উদ্দিন।
এদিন ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় শেখ জামাল ম্যাচে লিড নিলেও ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। ম্যাচের ২৮ মিনিটে ফার্নান্দেসের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে দারুণ গোলে দলকে এগিয়ে নেন স্টুয়ার্ট। এরপর গোল করার সুযোগ তৈরি হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধেও। তবে সেই সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামালও। তবে গোল শোধ দিতে পারেনি তারা। যার খেশারত ম্যাচ হেরে দিতে হচ্ছে তাদের।
দিনের আরেক ম্যাচে ময়মনসিংহে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পুলিশ। আর এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে উঠে এসেছে তারা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কাজীম কিরমানে। এদিন লাল কার্ড দেখেছেন পুলিশের জিল্লুর রহমান।