সালাউদ্দিনের সমালোচনা ‘স্বাভাবিকভাবেই’ নিচ্ছেন কাবরেরা
শেষ এক বছরে বাংলাদেশ ফুটবল দারুণ কাটিয়েছে। লম্বা সময় ধরে মাঠের ফুটবলে এমন সুসময় বাফুফের ভাগ্যে সচরাচর জোটে না। এমন কিছু হয়েছে যার হাত ধরে, তিনি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তার হাত ধরেই দেড় দশক পর সাফের সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ।
তবে সেই কাবরেরাকেই কি-না আর মনে ধরছে না, এমন ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বাংলাদেশ দলের চলতি বছরের পারফর্ম্যান্সকে তুলেছিলেন কাঠগড়ায়। যার ‘দোষ’টা তিনি চাপান কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ঘাড়ে!
সবশেষ দুই ম্যাচের হেরেছে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আছে ৯৭তম অবস্থানে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪০ মিনিট গোলবঞ্চিত রেখেও শেষমেশ ৫-০ গোলে হারতে হয়। ঘরের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচে বাংলাদেশ ৯০ মিনিট পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে আটকে রেখেছিল। নিজেদের কাছেও এসেছিল গোলের সুযোগ। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় তা আর গোলে রূপ পায়নি। ৯২তম মিনিটে গোল হজম করে হারলেও এই ম্যাচে বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্স প্রশংসা কুড়িয়েছিল বেশ।
তবে ঘরের মাঠের সে ম্যাচের পর সালাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় দল অনেকগুলো টেকনিক্যাল ভুল করেছে। ম্যানেজমেন্টের সেসব টেকনিক্যাল ভুলের মাসুল দিতে হয়েছে এই দুই ম্যাচ হেরে।’
সে ম্যাচের পর বাফুফে সভাপতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কাবরেরাকে সরিয়ে দেওয়ারও। তবে আজ বাফুফে ভবনে কাবরেরা সাংবাদিকদের জানান, সেসব নিয়ে একদমই দুশ্চিন্তা করেন না তিনি। তার কথা, ‘তিনি বাফুফের সভাপতি। তিনি সমালোচনা করার অধিকার রাখেন। আমাদের মধ্যে এর পরেও কথা হয়েছে। আমরা আলোচনা করেছি দল নিয়ে, আমি তার সমালোচনা নিয়ে ভাবছি না। এর ইতিবাচক দিকটিই দেখছি। আমরা অবশ্যই ভুল থেকে শিখব।’
যে ম্যাচের পর সালাউদ্দিন অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন, সেই দুই ফিলিস্তিন ম্যাচ নিয়ে কাবরেরার মূল্যায়ন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে (কুয়েতের মাটিতে) আগ্রাসী ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম। খুব দ্রুতই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম। বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার কারণেই ভুল করেছি। ফিলিস্তিন অনেক ভালো দল, শক্তিশালী দল। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি, শেষ মুহূর্তের গোলে হেরেছি। আমার দৃষ্টিতে দল হারলেও উন্নতি করছে, আমি ইতিবাচক।’