লেভান্ডভস্কির হ্যাটট্রিকে জিতল বার্সা
লিগের আশা শেষ। তবে লিগটা এখনও শেষ নয়, দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখার মিশন এখন বার্সেলোনার সামনে। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয়ে ফেরা তো বটেই, পূর্ণ তিন পয়েন্ট নেওয়ার লক্ষ্যে গত রাতে মাঠে নেমেছিল বার্সা। এই ম্যাচে অবশ্য দলটাকে হ্যাটট্রিক হারই চোখ রাঙানি দিচ্ছিল। নিজেদের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে পিছিয়ে পড়েছিল ২-১ গোলে। তবে রবার্ট লেভান্ডভস্কির গোলে সে বাঁধাটা অবশেষে উতরে গেছে কাতালানরা। জয় তুলে নিয়েছে ৪-২ ব্যবধানে।
নিজেদের মাঠ লুইস কম্পানিস স্টেডিয়ামে গত রাতে বার্সাই এগিয়ে গিয়েছিল প্রথমে। ম্যাচের ২২তম মিনিটে ফারমিন লোপেজের গোলের পর দলটা সহজেই জয় তুলে নেবে বলে মনে হচ্ছিল।
তবে সে ভুলটা ভাঙল ২৭ মিনিটে গিয়ে। বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন বল ক্লিয়ার করতে গিয়তে বল তুলে দেন হুগো দুরোর পায়ে। তার গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ভ্যালেন্সিয়া।
এর দশ মিনিট না পেরোতেই আরও এক গোল করে বসে সফরকারীরা। এই গোলেও বার্সা দুষতে পারে নিজেদের রক্ষণকে। রোনাল্ড আরাউহো যে পেনাল্টিটা ‘উপহার’ই দিয়ে বসেন প্রতিপক্ষকে! সেখান থেকে পেপেলুর স্পটকিক এগিয়ে দেয় টেবিলের আটে থাকা ভ্যালেন্সিয়াকে।
তবে পরিস্থিতিটা বদলে যায় ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক গিওর্গি মামার্দাশভিলি লাল কার্ড দেখলে। লামিন ইয়ামালকে ঠেকাতে গিয়ে বক্সের বাইরে বেরিয়ে এসে হাত দিয়ে বল ঠেকান তিনি। বিরতির আগে এই লাল কার্ড ভ্যালেন্সিয়াকে পিছিয়ে দেয় বহুগুণে।
বিরতির আগেই কাতালানরা ছড়ি ঘোরাচ্ছিল ম্যাচে। ১০ জনের ভ্যালেন্সিয়াকে এবার চেপেই ধরে দলটা। তবে গোল পেতে সেট পিসের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে বার্সাকে। ৪৯ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন লেভা। ৮২ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া গোলটা যে পেলেন তিনি, সেটাও একই ঢঙে, কর্নার থেকে হেডে। ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ফ্রি কিক থেকে করেন শেষ গোলটা। লেভান্ডভস্কির হ্যাটট্রিকের সঙ্গে বার্সার জয়ও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায়।
এই জয়ের ফলে ৩৩ ম্যাচ থেকে বার্সার অর্জন দাঁড়াল ৭৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।