ভিনির জোড়া গোল, বায়ার্নকে রুখে চালকের আসনে রিয়াল
চার মিনিটের ছোট্ট একটা ঝড়। তাতেই মনে হচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদের তরী বুঝি ডুবে গেল! ১-০ গোলের লিডটা খুইয়ে ২-১ ব্যবধানে যে পিছিয়ে পড়েছিল দলটা! তবে শেষ মুহূর্তে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পেনাল্টি রিয়ালকে ম্যাচে ফেরাল। শুধু ফেরালই না, বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ২-২ গোলের এই ড্রয়ে দলটা চলে এসেছে চালকের আসনেও।
ম্যাচের আগে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় রিয়াল গিয়েছিল ফেভারিট হিসেবেই। কেন? তাদের পক্ষে যে কথা বলছিল ইতিহাস! দুই দলের শেষ ছয় বারের দেখায় পাঁচ জয়, আর ড্র একটা। এমন রেকর্ড নিয়ে যে কোনো দলই তো ফেভারিট হবে।
রিয়াল মাদ্রিদ খেলেছেও ফেভারিটের মতো করেই। প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে গিয়েছিল শুরুতে। টনি ক্রুসের পাস থেকে তার গোল রিয়ালকে এগিয়ে দেয় ১-০ গোলে।
প্রথমার্ধটা নির্বিঘ্নে পেরোলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়াল পিছিয়ে পড়ে। ৫৩ মিনিটে লেরয় সানের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। এর চার মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি যায় বায়ার্নের পক্ষে। তা থেকে গোল করেন হ্যারি কেইন।
এরপর সময় চলে যাচ্ছিল, রিয়াল গোলের দেখা পাচ্ছিল না আর। তখন মনে হচ্ছিল চার মিনিটের ওই ঝড়েই বুঝি ভেঙে-চুরে যাবে বায়ার্নের কাছে ১০ বছর ধরে রিয়ালের না হারার দম্ভ।
তবে ৮৩ মিনিটে দৃশ্যটা বদলে যায়। ভিনিসিয়াসের পেনাল্টি থেকে ২-২ গোলে সমতা ফেরায় রিয়াল।
শুধু কি সমতা? রিয়াল তো চালকের আসনেও চলে এসেছে! কেন নয়? পরের লেগটা তো তাদেরই ঘরের মাঠে। আর কে না জানে, সান্তিয়াগো বের্নাবিউতে ৯০ মিনিট যে অনেক লম্বা এক সময়!