যুক্তরাষ্ট্রেও সেরা মেসি
ইউরোপীয় ফুটবলের চাকচিক্য ছেড়ে বাইরে গেলে খুব বেশি আলোচনায় আসার সুযোগ নেই কারো। তবে নামটা যদি মেসি হয়; তবে নিয়ম পাল্টে যায় আপনা আপনি। গণমাধ্যম কিংবা তার পাড় ভক্তরা ঠিকই খোঁজে নেই মেসিকে। খোঁজ রাখে কখন, কোথায়, কবে মাঠে নামছেন তাদের প্রিয় তারকা। মেসিও তেমনি নিরাশ করেন না তার সমর্থকদের। নিত্য নতুন কীর্তি গড়ে ভক্তদের অনুরাগ বাড়িয়ে দেন তার প্রতি।
এই যেমন গত মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে নাম লিখিয়েই দলকে জিতিয়েছিলেন প্রথম শিরোপা। যদিও মূল প্রতিযোগিতা এমএলএসে তেমন কিছু করতে পারেননি। করবেনই বা কেমন করে, তিনি যে সেখানে গিয়েছেনই প্রায় মৌসুম শেষের দিকে। এবার শুরু থেকেই ছিলেন এমএলএসে। যার প্রভাব পড়েছে লিগের পয়েন্ট টেবিলেও। তার দল ইন্টার মিয়ামি রাজ করছে এমএলসে। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে শীর্ষে। যার নেতৃত্বে মেসি। এবার তো জিতলেন এপ্রিল মাসের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারটাও।
এপ্রিল মাসের সেরা ফুটবলার হিসেবে মেসিকে না বেছে কোনো উপায়ও নেই। কেননা, সবশেষ মাসে ৪ ম্যাচে মাঠে নেমে তিনটিতেই দলকে জয় এনে দিয়েছেন মেসি। দলের মোট ১২ গোলের মধ্যে ১০টিতেই রেখেছেন সরাসরি অবদান। এরমধ্যে নিজে করেছেন ৬টি। বাকি ৪টি করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। এমন একজন পারফর্মারকে তাই মাসসেরা করতে খুব বেশি ভাবতে হয়নি এই পুরস্কারে ভোট দেওয়া গণমাধ্যম কর্মীদের।
এর আগে গত মাসে এই পুরস্কার জিতেছেন মেসির সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। গত ফেব্রুয়ারি/ মার্চের সেই পুরস্কার জিতেন মেসির এই বন্ধু। যেখানেও অবদান ছিল মেসির। এবার তো মেসি নিজেই জিতলেন এই পুরস্কার। যা এমএলএসে তার প্রথমবার।
সব মিলিয়ে এবারের এমএলএসে এখন পর্যন্ত মেসির গোল ৯টি। দৌড়ে আছেন এমএলএসের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জয়ের। অবশ্য খুব বেশি পিছিয়ে নেই বাকিরাও। মেসির চেয়ে মাত্র ১ গোল পিছিয়ে আছেন রিয়েল সল্ট লেকের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গো ও ডিসি ইউনাইটেডের বেলজিয়ান ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে। সুয়ারেজের গোল সংখ্যা ৭টি। তিনিও আছেন এই দৌড়ে। তাই সামনের ম্যাচগুলো এই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতেই হচ্ছে মেসিকে।