আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত বসুন্ধরার
চলতি বছরের শুরুতে বিপিএলের প্রথম লেগের ম্যাচে আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। এবার ঘরের মাঠেও লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটির বিপক্ষে জিতল কিংস। ম্যাচের শুরুতেই রাকিব হাসানের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিগুয়েল ফিগুইরা। পরে দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী একটি গোল শোধ করলে শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কিংস অ্যারেনায় শুরু থেকেই অবশ্য বল নিয়ন্ত্রণ আক্রমণ মিলিয়ে এগিয়ে ছিল আবাহনী। তবে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল হজম করে বসে লিগে সর্বোচ্চ ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি। আবাহনীর ছোট ডি-বক্সে জটলা পাকানো অবস্থায় বল জালে জড়িয়ে গোল উৎসবে মাতেন বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড রাকিব হাসান।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এবার বাজে কিছুর সম্মুখীন হতে হয় বসুন্ধরাকে। আবাহনী ডিফেন্ডার সোলাইমানির একটি শট থামিয়ে ফিরতি বল ক্লিয়ার করতে যেয়ে কর্ণেলিয়াস স্টুয়ার্টের বুটে আঘাত লাগে বসুন্ধরা গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর মাথায়। পরে তৎক্ষণাৎ জিকোর মাথা থেকে তীব্র রক্তপাত শুরু হলে শেষ পর্যন্ত মাঠে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। জিকোর পরিবর্তে তখন গোলপোস্ট সামলাতে বদলি হিসেবে নামেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
পরে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে মিগুয়েলকে ডি-বক্সে ফাউল করে বসে আবাহনীর ডিফেন্ডার এবং সঙ্গেই বেজে উঠে রেফারির বাঁশি, পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। সেখানে সফল স্পট কিকে কোনো ভুল করেননি মিগুয়েল। ২-০ এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সেই ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে আরও মরিয়া হয়ে উঠে আবাহনী। ৫০তম মিনিটে সেই আশা আরও শক্ত করেন কর্ণেলিয়াস। তার দারুণ এক গোলে ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। তবে এরপর আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না দলটি। পরে যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল আকাশী-হলুদের দলটি। তবে ৯০+২ মিনিটে হৃদয়ের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক শট ফিরে যায় গোলপোস্টে লেগে। এতে জমজমাট এই ফিরতি লেগের ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস।
এই জয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো কিংসের। ১৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াল ৩৭। এদিকে তিনে থাকা আবহনীর পয়েন্ট থাকলো ২৫।