১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ড

১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ডর্টমুন্ড

আগের লেগে ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এতে ফাইনালে পৌঁছাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমির ফিরতি লেগে পিএসজির মাঠে জার্মান ক্লাবের সামনে সমীকরণ ছিল যেকোনো ব্যবধানে ড্র বা জয়। এদিকে নিজেদের মাঠে গোল ব্যবধানে ১ বা তার বেশি রেখে ডর্টমুন্ডকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের শেষ ধাপে পৌঁছাবে পিএসজি। তবে এমবাপে-হাকিমিদের সব স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ফিরতি লেগেও ১-০ ব্যবধানে জেতে ডর্টমুন্ড। এতেই দুই লেগে মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে জিতে ১১ বছর পর ফাইনালে পৌঁছাল ব্ল্যাক অ্যান্ড ইয়োলোরা। 

সবশেষ ২০১২/১৩ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ডর্টমুন্ড। তবে আরেক জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ফাইনালে ২-১ ব্যবধানে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। এবার ১১ বছর পর আরও একবার তাই সেই স্বপ্ন পূরণে শিরোপার দুয়ারে ডর্টমুন্ড। 

গত রাতে পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ম্যাটস হুমেলসের করা একমাত্র গোলেই শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পৌঁছে দেয় ডর্টমুন্ড। এই জার্মান ডিফেন্ডার শুধু এই ম্যাচেই না, গোল করা ছাড়াও রক্ষণের অন্যতম ফুটবলার হিসেবে দুই লেগেই ম্যাচ সেরার খেতাব জেতেন। 

তবে ঘরের মাঠে চেষ্টার যেন কমতি ছিল না পিএসজির। ৭০ শতাংশ বল তাদের দখলেই ছিল। ৩১টি শট, লক্ষ্যে পাঁচটি। তবে এর মধ্যে চারটি শটই ফিরে আসে গোলপোস্টে লেগে। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো সেমিতে খেলল পিএসজি। যার মধ্যে তিনবারই শেষ চার থেকে নিল বিদায়। কেবল ২০১৯-২০ মৌসুমে খেলেছিল ফাইনালে। সেবারও পিএসজির জয়ে বাঁধা হয়েছিল বায়ার্ন।

ফাইনালের আরেক টিকিটের লড়াইয়ে আজ (বুধবার) নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ও বায়ার্ন। জার্মান ক্লাবটির মাঠে আগের লেগের ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ২-২ ড্রয়ে। এতেই ফিরতি লেগের এই ম্যাচ যেকোনো ব্যবধানের জয়ী দলই পৌঁছে যাবে ফাইনালে, ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে লড়তে।  

সম্পর্কিত খবর