ড্রয়ের পর শিরোপার আনন্দ বসুন্ধরার

ড্রয়ের পর শিরোপার আনন্দ বসুন্ধরার

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সাজ সাজ রব ছিল আগে থেকেই। প্রিমিয়ার লিগের টানা পঞ্চমবারের চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের গেমউইকে। আজ ঘরের মাঠে শিরোপা হাতে পাওয়ার কথা ছিল বসুন্ধরার, না সেজে উপায় আছে?

তাতে কি একটু হলেও ম্যাচ থেকে মনোযোগ সরে গিয়েছিল? না হয় পুলিশ এফসির বিপক্ষে ঘরের মাঠের ম্যাচটা কেন হারতে হারতে ড্র করতে হবে কোচ অস্কার ব্রুজনের দলকে? ২-২ গোলের এই ড্রয়ে অবশ্য বসুন্ধরার কোনো ক্ষতিই হয়নি। শিরোপা তো নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই!

বসুন্ধরা নিজেদের মাঠে আজ এগিয়ে গিয়েছিল। ৪৩ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন নাইজেরিয়ান ফুটবলার এমফন উদোহ। শেখ মোরসালিনের বাড়ানো বল থেকে দরিয়েলতনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোলটা করেন এমফন। বিরতিতেও বসুন্ধরা গেছে এই এক গোল নিয়ে। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পরিস্থিতিটা বদলে যায়। ৫০ মিনিটে পুলিশ এফসি সমতা ফেরায় ম্যাচে। রবসন রবিনহোর ভুলে বল পেয়ে যায় দলটা। এদুয়ার্দ মুরিয়োর পাস থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান মাহাদি ইউসুফ, সেখান থেকে দূরপাল্লার শট, এবং গোল! ম্যাচে ফেরে ১-১ সমতা।

এরপর পুলিশ রীতিমতো সাঁড়াশি আক্রমণে চেপে ধরে বসুন্ধরাকে। গোলের দেখাও পায় দলটা। ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলের কারিগর এদুয়ার্দ মুরিয়ো গোলের খাতায় নাম লেখালে পুলিশ এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা তখন প্রমাদ গুণছে উৎসবের দিনে হেরে বসার।

তবে সে শঙ্কা থেকে দলটাকে রক্ষা করেন দরিয়েলতন গোমেজ। মোরসালিনের বাড়ানো বল থেকে বক্সের কাছে বল পেয়ে যান রবসন। তার কাছ থেকে বলটা গেল বক্সে থাকা দরিয়েলতনের কাছে, ডিফেন্ডারের জটলায় বলটা ঠাণ্ডা মাথায় তিনি জড়ান পুলিশের জালে। সমতা ফেরে ম্যাচে।

তবে এরপর আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। বসুন্ধরা মাঠ ছাড়ে একটা ড্র দিয়ে। তবে তাতে শিরোপার উৎসবের রোশনাইটা কমেনি একটুও।

সম্পর্কিত খবর