ফিফার শাস্তি পেলেন মুর্শেদি, নিষিদ্ধ ২ বাফুফে কর্তা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন গেল বছরে বেশ টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে। তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জালিয়াতির দায়ে। তার বছর না ঘুরতে আবারও ফিফার নিষেধাজ্ঞা আর শাস্তির নির্দেশ নেমে এল বাফুফে কর্তাদের ওপর।
এবার শাস্তি পেয়েছেন বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি অবশ্য স্রেফ জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যাবেন।
তবে বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানের ভাগ্য অতটা সুপ্রসন্ন নয়। দুজন দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
ওদিকে আবু নাইম সোহাগ গেল বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২ বছরের জন্য। সে নিষেধাজ্ঞা এবার বেড়েছে আরও এক দফা। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে আবু নাইম সোহাগ সব মিলিয়ে তিন বছর ফুটবল সম্পর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
ফিফার দেওয়া অর্থে অনিয়মের কারণে এই শাস্তি নেমে এসেছে সবার ওপর। সালাম মুর্শেদির শাস্তির পরিমাণ হচ্ছে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ।
ফেডারেশনের অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে অনিয়মের ক্রয় ও পরিশোধের প্রক্রিয়াতে মিথ্যা তথ্য ও ত্রুটিপূর্ণ ক্রয়ের আদেশ দিয়েছেন তিনি, দিয়েছেন ভুয়া দলিলও। মূলত সে কারণেই তার ওপর নেমে এসেছে এই শাস্তি। আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি জানায় ফিফা।
এই ঘটনায় হাত আছে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগেরও। তাকে আরও ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছে ফিফা। তার আগে গেল বছর ১৪ এপ্রিল ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। সে নিষেধাজ্ঞায় আজ যোগ হলো আরও এক বছর। তার সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন বাফুফের সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও সাবেক প্রধান ফুটবল পরিচালনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানও। দুজনই ২ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন, সঙ্গে পেয়েছেন ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানাও।
বাফুফের প্রকিউরমেন্ট ও স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে অবশ্য জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞার কিছুই দেয়নি ফিফা। ভবিষ্যতে যেন এমন অপরাধের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করেন, সে বিষয়ে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে ফিফার তত্ত্বাবধানে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণের আদেশও দেওয়া হয়েছে।