আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল বার্সা
ছেলেদের ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মানেই যেন বার্সেলোনার জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। অনেক বছর ধরেই ইউরোপের এই প্রতিযোগিতা যে দলটাকে স্রেফ বঞ্চনাই উপহার দিয়েছে। তবে বার্সেলোনা ফেমেনি, মানে কাতালানদের নারী দলের কাছে বিষয়টা পুরো উল্টো। আগের মৌসুমে ইউরোপসেরা বনেছিল। কাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অলিম্পিক লিওঁকে ২-০ গোলে হারিয়ে সে শিরোপা আরও একবার ট্রফি কেসে তুলে ফেলেছে অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াসের দল।
বার্সেলোনার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সংখ্যা আরও বেশিই থাকত, যদি না এই লিওঁ দুটো ফাইনালে বাগড়া দিত। ২০১৯ ও ২০২২ সালের দুই ফাইনালে বার্সা হেরেছিল যথাক্রমে ৪-১ ও ৩-১ ব্যবধানে। তৃতীয় বারের চেষ্টার দলটাকে ফাইনালে হারাতে পারল বার্সেলোনা।
স্পেনের মাঠ সান মামেসের ফাইনালে শুরুতে অবশ্য গোল হজম করেই ফেলছিল বার্সা। ১৪ মিনিটে লুসি ব্রোঞ্জ নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দিচ্ছিলেন। শেষ মুহূর্তে দিক বদলে বলটা গিয়ে আঘাত হানে বারপোস্টে।
ওদিকে গোল পাওয়ার কাছাকাছিও চলে গিয়েছিল বার্সা। মারিওনা কালদেন্তির শট গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন লিওঁর ভেনেসা গিলেস, ক্যারোলিন গ্রাহাম হ্যানসেনের শটও জালের দেখা পেতে পেতে পায়নি শেষমেশ। ফলে ০-০ স্কোরলাইন নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর বার্সেলোনা প্রথম গোলের দেখা পায় আইতানা বোনমাতির কল্যাণে। শেষ বারের ব্যালন ডি’অর আর ফিফা বেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা এই খেলোয়াড় ৬৩ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে গোলটি করেন।
প্রতিযোগিতার রেকর্ড গোলস্কোরার ও প্রথম নারী ব্যালন ডি’অর জেতা আদা হেগারবার্গকে লিওঁ রেখেছিল বেঞ্চে। তবে গোল হজমের পর তাকে মাঠে আনে লিওঁ, যদিও কাজের কাজ হয়নি শেষমেশ, সমতাসূচক গোলের দেখা তিনি পাইয়ে দিতে পারেননি লিওঁকে।
উল্টো শেষ মুহূর্তে ২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস গোল করে নিশ্চিত করেন বার্সেলোনার জয়। টানা দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জেতে বার্সা। টানা দ্বিতীয় ট্রেবলও পূরণ করে তারা। ছেলে আর মেয়ে দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি চার বার ট্রেবল জয়ের কীর্তি আছে দলটার। এমন কীর্তি ইউরোপে নেই আর একটিও।