মেসিও তাহলে ক্লান্ত হন
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচের ৮৯ তম মিনিটে যখন আনহেল ডি মারিয়াকে আর্মব্যান্ড পরিয়ে দিয়ে মেসি মাঠ ছাড়ছিলেন, দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন ঠিকই কিন্তু তাদের মনের ছিল শঙ্কা।ইনজুরি নয় তো? কারণ এভাবে মেসিকে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মাঠ ছাড়তে দেখা গিয়েছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করে।
তবে ম্যাচশেষে আর্জেন্টাইন কাপ্তান জানালেন তিনি ঠিক আছেন। মাঠ ছাড়ার কারণ ক্লান্তি৷ ইঙ্গিত দিয়েছেন এমনটা এবারই শেষ নয়। সামনে আরো অনেকবারই দেখা যেতে পারে।
"আমরা যাদের বিপক্ষে খেলেছি তারা অসাধারণ একটা দল। তাদের ফুটবলাররা বেশ এবং শারীরিকভাবেও অনেক শক্তিশালী। ম্যাচটা কঠিন ছিল। শারীরিকভাবেও লড়তে হয়েছে অনেক। আমি একটু ক্লান্ত ছিলাম তাই আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিলো। তবে সম্ভবত ম্যাচ থেকে উঠে আসার এটাই শেষ ঘটনা হবে না। এমনিতে ভালোই অনুভব করেছি।"
বিশ্বকাপ জিতলেই যে সাফল্যক্ষুধা শেষ কিংবা আর কিছুই যে জেতার বাকী নেই এমনটা মনে করছেন না আর্জেন্টাইন কাপ্তান, "'বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি খুব বেশি দিন আগে নয় তবে মনে হচ্ছে অনেক কিছু হয়ে গেছে। একের পর এক ম্যাচ চলছে। আমাদের আরো এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে এবং পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।"
ম্যাচশেষে মেসির কথাতেই স্পট কোনো ম্যাচকেই তারা হালকা ভাবে নিচ্ছেন না৷ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টার্গেট এখন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন। যদিও নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে আর্জেন্টিনা যে ছন্দে আছে তাতে বিশ্বকাপের টিকিট কাটাই বরং তাদের জন্য সহজ কাজ হতে পারে। তবে আত্মতুষ্টি নয় মেসিরা সবটা উজাড় করে দিতে চান দেশের জন্য।
এই প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন জাদুকর বলেন, "আমরা জানি সামনে এগোতে হলে প্রতি ম্যাচেই শতভাগ উজাড় করে খেলতে হবে। প্রীতি ম্যাচগুলোতেও আমরা সেটাই দেখিয়েছি৷ আজও সেটাই করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই দলটা যা কিছুই জিতুক না কেন কখনো আত্মতুষ্টিতে ভুগবে না। আমরা একটু ঢিলেমি করলেই বাকিরা আমাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে।"
বুয়েন্স আইরেসে ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ তে জয় পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটাও এসেছে মেসির পা থেকে, ফ্রি-কিকে।