চীনা তাইপের বিপক্ষে চার গোল হজম বাংলাদেশের
ম্যাচে নামার আগেও শক্তিশালী চীনা তাইপের বিপক্ষে খেলতে পারা নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। জানিয়েছিলেন নিজেদের উন্নতি এমন কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই খেলতে হবে তাদের। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন দারুণ কিছু করে দেখাতে মুখিয়ে তার দল। তবে সেই দারুণ কিছু দেখা যায়নি মাঠের ফুটবলে। বরং র্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা চীনা তাইপের বিপক্ষে কিংস অ্যারেনায় ৪ গোল হজম করতে হয়েছে সাবিনা খাতুনদের। আর এই হার দিয়েই মেয়েদের ফুটবলে শুরু হয়েছে পিটার বাটলার অধ্যায়।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে চীনা তাইপে যেখানে ৪০ তম স্থানে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪০ নম্বরে। দু’দলের ব্যবধানটা স্পষ্ট। সেই ব্যবধান ম্যাচেও ফুটে উঠতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ১১ তম মিনিটেই চীনা তাইপের দারুণ পাসিংয়ে অবাক বনে যায় বাংলাদেশের রক্ষণ। নিজেদের রক্ষণ ভাগ থেকে বল নিয়ে উঠে গোল দিয়ে আসে তাইপে। দলকে এগিয়ে নেন ইয়ু সুয়ান।
সেই গোল শোধ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশ ৭ মিনিট না যেতেই ফের হজম করে বসে আরেক গোল। কর্নার থেকে আসা বল নিখুঁত হেডে জালে জড়িয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডিফেন্ডার সিন ইয়ুনে। বিরতির আগে ম্যাচের ২৭ মিনিটে ফের আরেক গোল হজম করে বাংলাদেশ। এ দফায় গোল করেন ইয়ু সুয়ান। প্রথমার্ধেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের রক্ষণ সামলে ব্যবধান কমানোটাই মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় বাটলারের দলের। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যবধান কমাতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো এক গোল হজম করেছে আরও। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোলের হালি পূর্ণ করেন ইয়ু সুয়ান। ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর রক্ষণভাগে কড়া পাহারা বসিয়ে কোনো রকমে আর গোল হজম করা থেকে বেচেছে বাংলাদেশ।
এ জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে চীনা তাইপে। আগামী ৩ জুন সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে একই মাঠে চাইনিজ তাইপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। যেখানে অবশ্য প্রথম ম্যাচের ভুল শুধরে দারুণ কিছুই করে দেখাতে চাইবে বাংলাদেশ।